ভারতীয় দলে এক সে এক মহান ব্যাটসম্যান এসেছেন। এই মহান ব্যাটসম্যানদের কথা যখনই বলা হয় তো কিছু নাম প্রধান হিসেবে নেওয়া হয়। কিন্তু এর মধ্যেও সবচেয়ে বড়ো আর বিশেষ নাম বর্তমান ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির নেওয়া হয়। বিরাট কোহলি ভারতীয় ক্রিকেট দলের সবচেয়ে বড়ো ব্যাটসম্যান তো বটেই সেই সঙ্গে তিনি বিশ্ব ক্রিকেটেরও মহান ব্যাটসম্যান হওয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছেন।
বিরাট কোহলি ব্যাটিংয়ে উড়িয়েছেন সফলতার পতাকা
বিরাট কোহলি যেভাবে নিজের কেরিয়ারে নিজের ব্যাটিংয়ে কামাল দেখিয়েছেন তাতে তিনি নিজের কেরিয়ারের ১২ বছরের মধ্যে এক সে এক রেকর্ড গড়েছেন, তো অন্যদিকে কিছু রেকর্ড তিনি আগামী দিনে গড়তে চলেছেন। ব্যাটিংয়ের সঙ্গেই অধিনায়কত্বেও বিরাটের কোনো তুলনা নেই। তিনি নিজের অধিনায়কত্বে ভ্রতীয় দলকে স্বয়ং দুর্দান্ত ব্যাটিং করে প্রেরণা জুগিয়ে বেশকিছু ম্যাচে জয়ের কাহিনি লিখেছেন। তিনি ব্যাটিংয়ে দলের হয়ে দুর্দান্ত যোগদান দিয়েছেন।
২০১৫য় বিরাট কোহলি কিছু ওভার সামলেছিলেন উইকেটকিপিং
বিরাট কোহলি ব্যাটিংয়ে কী করেছেন সেটা তো সকলেই জানেন। কিন্তু ২০১৫য় কোহলিকে উইকেটকিপিংয়ের দায়িত্বও সামলাতে দেখা গিয়েছিল। ২০১৫য় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি ওয়ানডে সিরিজে বিরাট কোহলিকে ধোনির ওয়াশরুমে যাওয়ার কারণে ৪৪তম ওভারে উইকেটকিপিংয়ের গ্লাভস সামলাতে হয়েছিল। এবং তিনি কিছু ওভার কিপিং করেন। বিরাট কোহলির উইকেটকিপিং করা নিয়ে তার সতীর্থ খেলোয়াড় ময়ঙ্ক আগরওয়াল প্রশ্ন করেছেন। ময়ঙ্ক কোহলিকে প্রশ্ন করেন যে আপনি উইকেটকিপার কেনো হয়েছিলেন আর এটা কীভাবে হয়েছিল?
ময়ঙ্কের প্রশ্নে বিরাট উইকেটকিপার হওয়ার কাহিনি বলেছেন
এই প্রশ্নের জবাবে বিরাট কোহলি বলেন যে,
“কখনো মাহীভাইকে প্রশ্ন কোরো এটা কীভাবে হয়েছে। ও আমাকে বলে যে ইয়ার দু-তিন ওভার উইকেটকিপিং করো। এরপর আমি কিপিং করি আর ফিল্ডিং সেটিংও করি। এরপর আমি বুঝে যায় যে ওর কাছে এত কিছু কীভাবে থাকে যখন ও মাঠে থাকে। কারণ ওকে প্রত্যেক বলে মনোযোগ দিতে হয় আর ফিল্ডেরও সেটিং করতে হয়”।
সেই সঙ্গে আগে কোহলি নিজের কিপিংয়ের অভিজ্ঞতার ব্যাপারে বলেন যে,
“আমার জন্য একটা সমস্যা উমেশ যাদবের বোলিং ছিল। আমি ভাবছিলাম যে ওর বল যে কোনোভাবে আমার নাকে লেগে না যায়। এরপর আমি হেলমেট পড়তে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারপর আমি ভাবি যে ভীষণই বেইজ্জতি হয়ে যাবে”।