আইপিএলের ৪১তম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের মুখোমুখি হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই ম্যাচে চেন্নাইয়ের হয়ে দলে প্রত্যাবর্তন করে হরভজন সিং। অন্যদিকে হায়দ্রাবাদও এই ম্যাচে মনীষ পাণ্ডে আর সাকিব আল হাসানকে দলে জায়গা দিয়েছিল। এই ম্যাচ সিএসকে ৬ উইকেটে নিজেদের নামে করে।
হায়দ্রাবাদ করছে দুর্দান্ত ব্যাটিং
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ এই ম্যাচে দ্বিতীয় ওভারেই জনি বেয়রস্টোর রূপে বড়ো ধাক্কা খায়, কিন্তু এরপর তাদের দল দুর্দান্ত ব্যাটীং করে। দলে প্রত্যাবর্তন করা মনীষ পান্ডে প্রথম বলেই হরভজন সিংকে চার মেরে নিজের উদ্দেশ্য পরিস্কার করে দেন। ডেভিড ওয়ার্নারও অন্য প্রান্ত থেকে তাকে ভাল সঙ্গে দেন। কিন্ত তিনি মনীষ পাণ্ডের চেয়ে সামান্য স্লো ব্যাটিং করেন। দুই ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় উইকেটের জন্য ৭২ বলে ১১৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।
ফিনিশ করতে পারেননি ইনিংস
ব্যাটিংয়ের জন্য মুশকিল পিচে ডেভিড ওয়ার্নারের আউট হওয়ার পর চেন্নাই সুপার কিংসের বোলাররা ভাল প্রত্যাবর্তন করে। এক সময় হায়দ্রাবাদকে ২০০ রানে পৌঁছতে দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু চেন্নাই তাদের তিন উইকেট পরা সত্ত্বেও মাত্র ১৭৫ রানে আটকে দেয়। মনীষ পাণ্ডে অপরাজিত ৮৩ রানের ইনিংস খেলে অন্যদিকে ডেভিড ওয়ার্নারও ৫৭ রান করেন। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে হরভজন সিং দুই উইকেট নেন, দীপক চহের নেন এক উইকেট।
চেন্নাইয়ের খারাপ শুরু
চেন্নাই সুপার কিংসের জন্য ইনিংসের শুরুটা খারাপ হয় আর তিন ওভারে তারা মাত্র ৮ রান করে দু’প্লেসির উইকেট হারিয়ে ফেলে। এরপর শেন ওয়াটসন আর সুরেশ রায়না দ্রুত গতিতে রান করে দলকে সামলান। রশিদ খান সুরেশ রায়নাকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান, কিন্তু এই মরশুমে ফর্ম নিয়ে লড়াই করতে দেখা ওয়াটসন দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। তিনি এই মরশুমের প্রথম হাফসেঞ্চুরিও করেন।
শেন ওয়াটসনের বিস্ফোরক ব্যাটিং
সুরেশ রায়নার আউট হওয়ার পর শেন ওয়াটসন রান করার গতি আরো দ্রুত করে দেন। আম্বাতি রায়ডুও তাকে ভাল সঙ্গ দেন। এই কারনে এই দল শেষ ওভারে লক্ষ্য হাসিল করে নেয়। এই জয়ের সঙ্গেই চেন্নাই সুপার কিংস প্লে অফে জায়গা পাকা করে ফেলল। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে শেন ওয়াটসন সবচেয়ে বেশি ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি ছাড়াও সুরেশ রায়না ৩৮ রানের দ্রুত গতির ইনিংস খেলেন। হায়দ্রাবাদের হয়ে ভুবি, রশিদ আর সন্দীপ শর্মা একটি করে উইকেট নেন।