ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের ত্রয়োদশ মরশুমের তৃতীয় রোমাঞ্চকর ম্যাচ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর আর সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের মধ্যে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছে। এই ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, সানরাইজার্সকে দুর্দান্তভাবে হারিয়ে দিয়েছে। এই ম্যাচ হারার পর হায়দ্রবাদের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার নিজের দলের হারের আসল কারণ খোলসা করেছেন।
ডেভিড ওয়ার্নার জানালেন হারের আসল কারণ
আইপিএল ২০২০-র প্রথম ম্যাচেই হারের পর ডেভিড ওয়ার্নারের চেহারায় নিরাশা পরিস্কার দেখা গিয়েছে। তবে তিনি নিজের রান আউটেরও উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে তিনি এটাও বলেছেন যে শেষ চহেলের শেষ ওভার ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট থেকেছে। পোষ্ট ম্যাচ প্রেজেন্টেশনে তিনি বলেন,
“আমার মনে নেই যে গতবার আমি এইভাবে কবে আউট হয়েছি। এই খেলায় কিছু এমন জিনিস হয়েছে যা আমি আগে কখনও দেখিনি। মিচেল ভীষণই সাহসী খেলোয়াড়। আশা করছি যে ও অবস্থা বেশি খারাপ নয়, এটা ওর জন্য যথেষ্ট যন্ত্রণাদায়কও ছিল। চহেলের শেষ ওভার, ওখান থেকেই টার্নিং পয়েন্ট ছিল। আমাদের ড্রয়িং বোর্ডে ফিরে যেতে হবে, আমরা স্পষ্টভাবে আজ যা হয়েছে সেটা ঠিক করতে পারব না। কিন্তু আমাদের আবু ধাবিতে নিজেদের পরবর্তী ম্যাচের আগে উৎসাহের সঙ্গে ফিরে আসতে হবে আর কড়া মেহনত করতে হবে”।
দেবদত্ত পডিক্কল আর ডেভিলিয়র্সের হাফসেঞ্চুরিতে আরসিবির ১৬০ রানের স্কোর
আসলে টসে হারের পর ব্যাটিং করতে নামা ব্যাঙ্গালোরের দলের হয়ে তরুণ ব্যাটসম্যান দেবদত্ত পডিক্কল আর অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ অধিনায়ক অ্যারণ ফিঞ্চ ইনিংসের শুরু করেন। এই দুই খেলোয়াড় দুর্দান্ত শুরু করে প্রথম ৬ ওভারে ৫৩ রান করেন। এরপর দল প্রথম ধক্কা দেবদত্ত পডিক্কলের রূপে খায়। এরপর বড়ো শট খেলার চেষ্টা অ্যারণ ফিঞ্চও ২৯ রানের স্কোরে অভিষেক শর্মার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান। দল তৃতীয় ধাক্কা খায় অধিনায়কের রূপে। বিরাট কোহলি মাত্র ১৪ রান করে আউট হয়ে যান। দলের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এবি ডেভিলিয়র্স ৩০ বলে ৫১ রানের ভালো ইনিংস খেলেন। যার সাহায্য দলের স্কোর ১৬৩ রান পর্যন্ত পৌঁছয়।
আরসিবি জেতে এই রোমাঞ্চকর ম্যাচ
আপনাদের জানিয়ে দিই যে ১৬৩ রান তাড়া করতে নেমে সানরাইজার্সের শুরুটা ভালো হয়নি আর তাদের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার (৬) দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে যান। এরপর মনীষ পান্ডে আর জনি ব্যারেস্টোর জুটি ইনিংস সামলান, দুজনকে মিলে দলকে ৫০ রান পার করান। তবে ৮৯ রানের মাথায় মনীষ পাণ্ডে ৩৪ রানের ব্যক্তিগত স্কোরে চহেলকে ছক্কা মারার চক্করে নভদীপ সাইনির হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে বসেন। তার এই উইকেট ১২ ওভারের শেষ বলে পড়ে। এরপর দুর্দান্ত ব্যাটিং করা ব্যারেস্টো একদিক সামলে রাখেন। তিনি নিজের ইনিংসের ৩৬তম বলে উমেশ যাদবকে বাউন্ডারি মেরে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তবে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা ব্যারেস্টো (৬১) যজুবেন্দ্র চহেলের বলে বড় শট মারার চক্করে চহেলের বলে বোল্ড হয়ে যান। ব্যারেস্টোর পর বিজয় শঙ্করও চহেলের বল বুঝে পারেননি আর প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যান। চহেল পরপর ২ বলে ২টি উইকেট হাসিল করেন। শেষমেশ হায়দ্রাবাদ ১৫৩ রানই করতে পারে আর আরসিবি এই ম্যাচ ১০ রানে জিতে যায়।