ইনজুরির কবলে পড়ে ইংল্যান্ড ও হ্যাম্পারশায়ার স্পিনার ম্যাসন ক্রেন পুরো সিজনের জন্য ছিটকে গেছেন। ইনজুরি সমস্যা ক্রেনের জন্য নতুন কিছু নয় কারন এর আগেও নিউজিল্যান্ড সিরিজের দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল ঠিক একই কারনে।
ইনজুরি যেন এক প্রকার অভিশাপ হয়েই দড়িয়েছে এই তরুণ ক্রিকেটারের জন্য। রয়েল লন্ডন ওয়ানডে কাপের ফাইনালে কেন্টের বিপক্ষে পেইন কিলার নিয়ে খেলতে হয়েছিল তাকে। ম্যাচে ম্যাসন ৫৩ রান খরচ করে ক উইকেট তুলে নেন এবং হ্যাম্পারশায়ার ৬১ রানের জয় পায়।
এদিকে বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজের ইনজুরি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন ক্রেন। “এটা খুবই হতাশাজনক, আমি ক্রিকেটকে অনেক মিস করবো। একই ইনজুরিতে আবার ফিরে আসা সত্যিই খুবই লজ্জাজনক ও হতাশাজনক,” তিনি বিবিসিকে বলেন। “ইনজেকশনের কারনেই ফাইনাল ম্যাচ পর্যন্ত আসা সম্ভব হয়েছিল। এই ধরনের একটি বড় খেলার জন্য ঝুঁকি নেওয়া অবশ্যই আবশ্যক ছিল। একটি খেলার জন্য এটি ছোট একটি ঝুঁকি কারন একদিনে স্ট্রেস ফ্র্যাকচার কখনো বেশি খারাপ হয় না। এটি ধ্রীরে ধীরে বাড়তে থাকে,” তিনি যোগ করেন।
তবে এত কিছুর পরও ইনজুরি থেকে দ্রুত সেরে উঠার ব্যাপারে আশাবাদী ক্রেন। “এটা নিয়ে হতাশ হয়ে যাওয়ার কিছু নেই। আমাকে চেষ্টা করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে আগামী সিজনের আগেই পুরোপুরি ফিট হতে। “প্রথম কয়েক সপ্তাহ আমাকে বিশ্রামে কাটাতে হবে। এরপর পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার ব্যাপারে দেখবো পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার জন্য,” তিনি বলেন।

উল্লেখ্য যে, ম্যাসন ক্রেন এ বছরের শুরুর দিকে সিডনিতে অ্যাশেজের পঞ্চম টেস্টে ইংল্যান্ডের হয়ে জাতীয় দলে অভিষিক্ত হন। এর আগে গত বছর এ সিডনিতেই গর্ডনের হয়ে খেলেছিলেন ক্রেন। গর্ডনের হয়ে নিউ সাউথ ওয়েলস প্রিমিয়ার লীগে খেলে সর্বাধিক উইকেট শিকারী হন এই লেগ স্পিনার। তার এই পারফরমেন্সের বদৌলতে এরপর নিউ সাউথ ওয়েলসের শেফিল্ড শিল্ডের জন্য তাকে নির্বাচন করা হয়। তবে ইংল্যান্ড দলে তার টেস্টে অভিষেকের বিষয়টি ক্রেনের জন্য অবাক করার মতোই। কারন তার পারফরমেন্স তেমন বেশি আহামরিও ছিল না দলে সুযোগ পাওয়ার মত। ২০১৭ চ্যাম্পিয়নশীপে মাত্র ১৬ উইকেট শিকার করেছিলেন এই বোলার। টেস্টের পাশাপাশি ইংল্যান্ডের হয়ে দুইটি টি২০ ম্যাচও খেলেছেন এই উদীয়মান ক্রিকেটার।