
কয়েক বছর ধরে দলের বাহিরে থাকা বাংলার ব্যাটসম্যান মনোজ তেওয়ারি দলে ফিরার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ; তিনি মনে করেছেন আসন্ন দুলীপ ট্রফি তার জাতীয় দলে ফিরার জন্য বড় সুযোগ হতে পারে। এবার সুরেশ রায়নার নেতৃত্বে ভারত নীল দলের হয়ে দুলীপ ট্রফিতে খেললেও গত দুলীপ ট্রফির সময় মনোজ তেওয়ারি ভারতের জাতীয় দলের হয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিলেন। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ভারত নীল দল তাদের প্রথম ম্যাচে ভারল লাল দলের মুখোমুখি হবে। মনোজ তেওয়ারি বলেন, “এটা আমার জন্য একটা বড় সুযোগ এবং আমি এখন ভাল ফর্মে আছি। গোলাপি বলে এই প্রথম বারের মত আমি বড় কোন আসরে খেলতে যাচ্ছি। ” বাংলার এই ব্যাটসম্যান ২০১৫ সালে শেষ বারের মত জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। এরপর খারাপ আর জাতীয় দলে ডাক পান নি। তিনি আরো বলেন, ” আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সততার সাথে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমার আত্মবিশ্বাস আছে এবং আমি মনে করি এবার আমি সুযোগের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারব।”
মনোজ তেওয়ারি এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে ৮ টি ওয়ানডে খেলে ৩৫.৮৫ গড়ে ২৫১ রান করেন। যাতে একটি শতক ও একটি অর্ধ শতক আছে। পাশাপাশি বোল হাতে নিয়েছেন ৫ উইকেট। এর আগে কালিঘাটের সাথে নয় বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে নাম লিখিয়েছেন মোহনবাগান ক্লাবে। ক্লাব ক্রিকেট থেকে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে পারফর্ম করে ফের জাতীয় দলের জার্সিটা ফিরে পেতে চান বাংলার টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান৷ মোহনবাগানের হয়ে সই করে বাংলা অধিনায়ক বলেন, ‘ভারতীয় দলের জার্সিতে ফিরতে চাই৷ দুলীপে সুযোগ পেয়েছি৷ গোলাপি বলে কোনও দিন খেলিনি৷ তাই খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছি৷’ কালীঘাটকে নেতৃত্ব দিয়ে গত ন’ বছরে অনেক ট্রফি দিয়েছেন মনোজ৷ এবার মোহন বাগানকে ট্রফি দিতে চান৷ নেতৃত্ব পাবেন কি না, জানেন না৷ তবে দায়িত্ব দিলে মোহন বাগানকে নেতৃত্ব দিতে কোন অসুবিধা নেই বাংলা অধিনায়কের। তিনি বলেন, ” আমি মোহন বাগান কে ট্রফি এনে দিতে চাই। মূল উদ্দেশ্য হল ট্রফি জয়। কালিঘাটের সাথে আমার পারিবারিক বন্ধন ছিল। কিন্তু একটা চ্যালেঞ্জ নেওয়া দরকার ছিল।” তিনি আরো বলেন, ” মোহন বাগান ট্রফিবিহীন। প্রধান উদ্দেশ্য দলকে ট্রফি এনে দেওয়া ও নিজের সর্বোচ্চ রান করা। কেবল এখান নয় ঘরোয়া ক্রিকেটে সেরা ক্রিকেটার হওয়া।”
প্রজ্ঞান ওঝার হাদ্রাবাদের হতে বাংলার হয়ে খেলার অনাপত্তি পত্রের বিষয় কিছু জানা নেই। তেওয়ারি বলেন, ” আমি তাকে ফোনেও পাচ্ছি না, জানি না তিনি বাংলার হয়ে খেলবেন কিনা। আর তার খেলা না খেলার বিষয়েও আমাদের মাথা ব্যাথা নেই। ” বাংলার অধিনায়ক আরো বলেন, “আমরা যে কোন পরিবেশে মানিয়ে নিতে প্রস্তুত এবং আমাদের খেলায় মনোনিবেশ করতে চাই। তার পরিবর্তে খেলানোর মত যথেষ্ট খেলোয়ার আমাদের আছে।”