ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় স্মৃতি মান্দানা।তার কথায় উঠে এলো চাঞ্চল্যকর খবর।২০১৭ সালের বিশ্বকাপে তাদের ফাইনালে যাওয়া নিয়ে,কারো ছিল না কোনো আশামূলক প্রতিশ্রুতি।ভারতের বিপদের মুখে তার অবদান অপরিসীম।সবার কাছে ২০১৭ বিশ্বকাপে ভারতের ফাইনালে যাওয়া ছিল এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা।যদিও তারা জয়লাভ করতে পারে নি কিন্তু স্মৃতি বলেছেন ,”কি ভাবে আইসিসি ভেবেছিলো যে ভারত গ্রূপ পর্যায় থেকেই বিদায় নেবে।”২০১৭ সালে ভারত ফাইনালে ওঠার আগেই স্মৃতির কাছে ছিল শিরোপার মুকুট।
মান্দানা লিগামেন্ট ছিড়ে যাওয়ার চোট সাড়িয়ে দলে যোগ দিতে সময় লাগে প্রায় পাঁচ মাস।অসুস্থতার কারণে তিনি সাউথ আফ্রিকার সিরিজ সহ বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারও খেলতে পারেন নি।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই তার অসাধারণ ইনিংস,সকলকে মুগ্ধ করে।প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি ৯০ রান করেন এবং দল ৩৫ রানে জিততে সক্ষম হয় এবং ম্যান অফ টি ম্যাচের শিরোপা পান। তার দ্বিতীয় শতরানটি করেন ওয়েস্ট ইন্ডিসের বিরুদ্ধে(১০৬*)।দলকে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ জায়গায় নিয়ে যেতে তার এই ইনিংস মনে রাখার মতন।
২০১৭ সালে ভারতের ফাইনালে পৌঁছানোর পেছনে মান্দানার ভূমিকা অপরিসীম।শেষে ইংল্যান্ডের কাছে ৯ রানে পরাজিত হয় ভারত ।মন ভাঙা কষ্ট এবং বোর্ডের ব্যবহারে অসন্তুষ্টি নিয়ে ঘরে ফেরে মন্দনারা।বোর্ডের কাছ থেকে এরকম ধরণের অপ্রত্যাশিত ব্যবহার কখনোই আশাস্বরূপ নয়।
মান্দানা একটি সাক্ষৎকারে বলেন,”আমরা ২টো আলাদা ফ্লাইটে দেশে ফিরি,কারণ আমরা ফাইনালে পৌঁছাবো কেউ আশা করে নি।তাই আমাদের ফেরার টিকিট বুক হয়ে গিয়েছিলো গ্রূপ খেলা শেষের পরই ।যখন আইসিসি ফাইনালের পর টিকিট বুক করেছিল,একটা ফ্লাইটে সমস্ত সিট পাওয়া যায় নি।তাই আমাদের আলাদাভাবে দেশে ফিরতে হয়।”
ঘটনাটি ঘটার পর আমাদের অর্থাৎ দলের ক্রিকেটারদের মনবল সম্পূর্ণ ভাবে বিচ্যুতি ঘটে। কিন্তু দেশে ফিরে ফ্যানদের সমর্থন আমাদের মনবল বাড়াতে অনেক সাহায্য করেছিল।ভারতীয় ভক্তদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্মৃতি বলেছিলেন, “লোকেরা ভারতের রান নিয়ে এতটাই আনন্দিত ছিল যে দলকে বিমানবন্দরে সবার পেছনে থাকতে হয়েছিল। আমার মনে হয়েছিল যেন আমরা বিশ্বকাপ জিতে ফিরেছি।”ভারতীয় সমর্থকদের ভালোবাসা তাদের ভালো খেলার অনুপ্রেরণা দিয়েছে বারবার।