ভারত আর অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে চলতি তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের তৃতীয় আর নির্নায়ক টি-২০ ম্যাচ আজ খেলা হয়েছে। সিডনির এসসিজি স্টেডিয়ামে খেলা হওয়া এই তৃতীয় আর শেষ ম্যাচে ভারত ৬ উইকেটে জয় হাসিল করে সিরিজে ১-১ এ সমতা ফিরিয়েছে।
ভারত জয় হাসিল করে সিরিজে ফেরাল ১-১ সমতা
এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারণ ফিঞ্চ টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া দল নিজেদের নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান তোলে।
এর জবাবে ভারতীয় দল ওপেনিং ব্যাটসম্যান শিখর ধবন আর রোহিত শর্মার সৌজন্যে দুর্দান্ত শুরুয়াত পায়। কিন্তু এরপর লাগাতার ৪টি ধাক্কা অবশ্যই খায়, কিন্তু বিরাট কোহলি আর দীনেশ কার্তিক লক্ষ্যকে হাসিল করে নেন।
অস্ট্রেলিয়া করে ১৬৪ রান, ভারত ৪ উইকেট হাসিল করে লক্ষ্য
অস্ট্রেলিয়া আর ভারতের মধ্যে খেলা হওয়া এই তৃতীয় ম্যাচে ঘরের দল অস্ট্রেলিয়া নিজেদের ওপেনিং জুটি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ এবং ডিআর্সি শর্টের সৌজন্যে প্রথম উইকেটে ৬৮ রান করে বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেন। এরপর অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস নড়বড়ে হয়ে যায়, আর শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৬৪ রানই তারা তুলতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে বেশি ৩৩ রান ডিআর্সি শর্ট করেন।
ভারতের ওপেনিং ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা আর ধবন দ্রুত শুরুয়াত করে দেন। দুই ব্যাটসম্যানই মাত্র ৩৩ বলে ৬৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ধবন ৪১ রানে আউট হওয়ার পর রোহিতও ২৩ রান করে আউট হয়ে যান, এরপর ভারতীয় দল ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে কিন্তু কোহলির ৬১ আর কার্তিকের ২২ রানের সাহায্যে জয় হাসিল করে ফেলে।
ক্রুণাল পাণ্ডিয়া নিজের প্রত্যাবর্তনের শ্রেয় দিলেন একে
এই ম্যাচে ৩৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে নিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে বড় স্কোর করা থেকে আটকানো ক্রুণাল পান্ডিয়াকে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পুরস্কার দেওয়া হয়।
ক্রুণাল পাণ্ডিয়া বলেন, “বিজয়ী দলে নিজের ভূমিকা পালন করা নিয়ে স্বাবাভিকভাবেই ভালো অনুভব হয়। প্রথম ম্যাচের পর আমি ফিরে এসেছি,যেখানে আমি অনেক রান দিয়েছিলাম”।
এই সমস্ত উইকেটের মধ্যে নিজের পছন্দের উইকেট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন যে,
“সমস্ত উইকেট আমার পছন্দের, কারণ ওদের মধ্যে কেউই আমার উপর রান করতে পারেননি, যেখানে প্রথম ম্যাচে ওরা আমার বিরুদ্ধে যথেষ্ট রান করেছিল। ভারতীয় দলে সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হল এটা যে এখানে সমস্ত খেলোয়াড়রা দ্বিতীয়বার সুযোগ পায় নিজেকে ফিরিয়ে আনার জন্য, ড্রেসিং রুমে কোনো চাপ থাকে না”।