কয়েক দিন আগেই তৈরি হয়েছিল এক জল্পনা, বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার নাকি চরম চটেছেন তার জাতীয় দলের সদস্য মামাদুল্লাহর উপর। এজন্য নাকি দুজনের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে এক ঠান্ডা যুদ্ধের।এবারের বিশ্বকাপে কার্ডিফে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর রিয়াদের মানসিকতা দেখে বেজায় চটেছিলেন নাকি শাকিব।সকলে যখন মিলিত ভাবে জেতার এক মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছে তখন ,তেমন বিশেষ কোনও হেল দোল লক্ষ্য করা যায়নি নাকি মামাদুল্লাহ রিয়াদের মধ্যে।এমনটাই নাকি শোনা যাচ্ছে।
এরপর নাকি অধিনায়ক মাশরাফি মোর্তাজা কে মামাদুল্লাহ কে দল থেকে বাদ দেওয়ার অনুরোধ করেন শাকিব, এমনটাই শোনা যাচ্ছে।যদিও তার এমন কথায় পাত্তা দেয়নি অধিনায়ক।বিষয়টি এতোটাই খারাপ লেগেছিলো শাকিবের , যে তিনি এরপর আর কোনও টিম মিটিংয়ে উপস্থিত থাকেননি।
শোনা যাচ্ছে দলের সতীর্থদের সাথেও খুব একটা বনে না এই ক্রিকেটারের।এমনকি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন ড্রেসিংরুমে সমস্যায় জড়ান তিনি।একদিকে যখন একের পর এক অভিযোগ উঠেছে তাকে নিয়ে, ঠিক এমন একটি সময় অবশেষে এবিষয়ে মুখ খুললেন এই বাংলাদেশের ক্রিকেটার।

” কয়েকদিন আগে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে শাকিবের সাথে আমার সমস্যার বিষয়ে একটি খবর দেখি।কিন্তু সত্যি কথা বলতে ওর সাথে আমার কোনও রকম সমস্যা নেই।ওর সাথে দীর্ঘদিন ধরে খেলছি আমি ,এবং আমরা খুব ভালো বন্ধু।ওর সাথে আমার দ্বন্দ্ব নিয়ে যেসব খবর এসেছে প্রকাশ্যে তা পুরোটাই ভিত্তিহীন।” ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তার মধ্যে দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। “আমার মনে হয় আমার এবিষয়ে কিছু এবার কিছু বলা উচিত, কারণ সামনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে চলেছি আমরা।সবাই আমাদের জন্য প্রার্থনা করূন যাতে এইসময় আমরা ভালো ভাবে খেলতে পারি ” বক্তব্য মামাদুল্লাহর।
প্রসঙ্গত, এবারের বিশ্বকাপে তেমন কিছু একটা করে উঠতে পারেননি মামাদুল্লাহ।বেশ কিছু বার ২০ এর ঘরে আটকে গেছেন তিনি।এবারের বিশ্বকাপে তার সর্বোচ্চ স্কোর ৬৯ এসেছিলো টেন্ট ব্রিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।বিশ্বকাপের পরবর্তী সময়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তাকে বিশ্রাম দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিলো বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড।কিন্তু শাকিব এবং লিটন দাস বিশ্রাম নেওয়ায় সুযোগ হয় তার।যদিও এক্ষেত্রে চরমভাবে ব্যার্থ হয়েছিলেন তিনি।তিন ম্যাচে তার স্কোর যথাক্রমে ৩,৬ এবং ৯ ।