সঙ্কট বাড়ল লঙ্কার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরার ।শ্রীলংকার বাঁ হাতি প্রথম শ্রেণীর ব্যাটসম্যান এবং উইকেট কিপার কুশল পেরেরা।ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং-এজেন্সি প্রায় ছয় মাসের ক্রিকেট খেলায় স্থগিতাদেশ দায় তাকে।তাদের প্রতিবেদন অনুসারে, তিনি প্রস্রাব পরীক্ষায় ব্যর্থ হন যার কারণে তাকে অস্থায়ী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল।
পরে, এটি প্রমাণিত হয়েছিল যে প্রতিবেদনগুলি ভুল ছিল এবং তিনি কখনও কোনও ধরণের মাদক দ্রব্য নেন নি। তারপরে, পেরেরার আইনী দল ওয়াডার সাথে এই ঘটনার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করে যেখানে পেরেরাকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ইউএস ৫০০,০০০ ডলার ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাঁ হাতি এই শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। যিনি ২০১৩ সালে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এবং তারপর থেকে তিনি ১৮ টি টেস্ট, ১০১ ওয়ান ডে এবং ৪৭টি টি-টোয়েন্টি জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন, যেখানে তিনি ৭টি শতরান এবং ৩০টি হাফ সেঞ্চুরি করেন।তার সমগ্র রান ৫০৫২।
কুশল পেরেরা নিউজিল্যান্ড সফরে ছিলেন, এমন সময় সংবাদমাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে যে ড্রাগ টেস্টে তিনি ব্যর্থ হন। এশিয়া কাপ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বেশ কয়েকটি বড় টুর্নামেন্ট হাতছাড়া করতে হয়েছিল এই ঘটনার জন্য তাকে এবং এটি যে কোনো ক্রিকেটারের কাছে ছিল একটি হৃদয় বিদারক খবর। পরে, তিনি একটি মামলা দায়ের করেছিলেন যাতে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড এক বিশাল পরিমাণ মার্কিন ডলার খরচ করে। তবে পেরেরা তার ম্যাচের অর্থ থেকে সমস্ত পরিমাণ অর্থ বোর্ডে ফেরত দিয়েছিলেন।এদিকে, তাকে পলিগ্রাফি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।তবে এই পরীক্ষার থেকে কিছু সন্ধান পাওয়া যায় নি।কাতারে পরীক্ষিত ভুল পরীক্ষায় পেরেরাকে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। ২০১৬ সালে, প্যারিসের থেকে ঘোষণা করা হয় যে পূর্বের ল্যাবগুলির প্রতিবেদনগুলি সঠিক ছিল না।তারপর আইসিসি কাতারের ল্যাবটিকে ব্লাকলিস্টেড করে দেয়।
বর্তমানে পেরেরা সমস্ত অপরাধ থেকে মুক্ত এবং ওয়াডা ক্ষতিপূরণ স্বরূপ ৫০০,০০০ ইউএস ডলার তিনি পান ।সর্বশেষে আইসিসি পেরেরার কাছে তার ক্রিকেট জীবনের ৬ মাস ক্ষতির জন্য ক্ষমা চায় । পেরেরা এই ঘটনার পর স্বচ্ছন্দে শ্রীলংকা ক্রিকেট দলে খেলার সুযোগ পেয়েছেন।পেরেরা বর্তমানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে টি ২০ সিরিজ খেলছেন।