ধোনির দেয়া পরামর্শ পেয়ে, কুলদীপের বাজিমাত! 1
ধোনির দেয়া পরামর্শ পেয়ে, কুলদীপের বাজিমাত! 2
কূলদীপ যাদব

চেতন শর্মা, কপিল দেব…. এরপর ওয়ানডে ক্রিকেটে ভারতের হয়ে তৃতীয় হ্যাটট্রিকটি করলেন কুলদীপ যাদব। ১৯৮৭ সালে চেতন শর্মা তার হ্যাটট্রিকটি করেছিল নাগপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ১৯৯১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন কপিল দেব। আর কুলদীপ করলেন ইডেনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ওয়ানডেত ভারতকে২৬ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল তৃতীয় হ্যাটট্রিক পেতে। বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কুলদীপের করা ৩৩তম ওভারটির দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হন অজি উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েড। হ্যাট্রিকের পথে কুলদীপের দ্বিতীয় শিকার হন অ্যাশটন অ্যাগার। অ্যাগারকে এলবির ফাঁদে ফেলেন তিনি। এরপর কুলদীপের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে কামিন্স ধোনীর হাতে ক্যাচ দেন। এর ফলে প্রথম ভারতীয় স্পিনার হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন কুলদীপ। মজার বিষয় হল ভারতের হয়ে করা আগের হ্যাট্রিকটিও হয়েছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে। কপিল দেবের হ্যাট্রিকটি ছিল ওয়ানডের ষষ্ঠ হ্যাটট্রিক। এর আগে ২০১৪ সালের শুরুর দিকে দুবাইতে আইসিসি-র অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে প্রথম ভারতীয় হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছিলেন কুলদীপ। অস্ট্রেলিয়াকে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫০ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে কোহলির দল। কিন্তু ম্যাচ– পরবর্তী আলোচনায় সেসব কোনো গুরুত্ব পাচ্ছে না। এই প্রথম কোনো চায়নাম্যান বোলার হ্যাটট্রিক করলেন ওয়ানডেতে। এরপর কি আর অস্ট্রেলিয়ার হারের কথা কারও মাথায় থাকে!

মজার ব্যাপার হলো, ৩৩তম ওভারের আগেও খুব সাধারণ একটা দিন যাচ্ছিল কুলদীপের। অন্য প্রান্তে দুর্দান্ত বল করছিলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। আর ৭ ওভারে ৩৯ রান দিয়েও কোনো উইকেট নেই যাদবের। কিন্তু তিন বলেই সব বদলে দিলেন। এক ঝটকায় ম্যাচের ফল নিয়ে সব অনিশ্চয়তা দূর করে দিলেন। সঙ্গে গড়লেন ইতিহাস। কুলদীপ বলেন, ” কখনো ভাবি নি! শুরুর দিকে আমি সঠিক জায়গায় বল করতে ই বেগ পাচ্ছিলাম। এটা ক্রিকেট খেলা, সব কিছু ঘটতে পারে। ” দ্বিতীয় ম্যাচেও বোলিং করতে সমস্যায় হয়েছিল এই চ্যায়নাম্যান স্পিনারের। ম্যাক্সওয়েল চড়াও হয়েছিলেন তার উপর। এক ওভারে ই হাকিয়ে ছিলেন একটি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারি। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” তিনি বলেন শেষ ম্যাচে আমার বলে তিনটি ছক্কা মেরেছিল। সেটা আমার একটা অভিজ্ঞতা ছিল, আমি মাহি (ধোনী) ভাইর সাথে কথা বলেছিলাম। তিনি আমাকে নিজের মত বল করার পরামর্শ দেন। এই হ্যাটট্রিকটা অসাধারন ছিল, খেলাকে বদলে দিয়েছে।” তিনি আরো বলেন, “স্মিথ লড়াই করেছে, অর্ধ শতক করেছেন কিন্তু কাজ হয় নি। শেষের দিকে স্টোনিসও অনেক চেষ্টা করেছেন, এটা তার জন্য অনেক কঠিন ছিল। কারন তাকে সঙ্গ দেওয়া কেউ ছিল না।”

Nazmus Sajid

Sports Fanatic!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *