ভারতীয় ক্রিকেটের বর্তমান দলের খেলোয়াড়রা এই মুহূর্তে ক্রিকেট মাঠ থেকে দূরে রয়েছেন। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন হয়ে গিয়েছে তো অন্যদিকে কিছু দল নিজেদের সেনাদের প্র্যাকটিস করানোর জন্যও নামিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের করোনার মধ্যে এখনো মাঠে নামার জন্য সমর্থকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
কুলদীপ যাদব লকডাউনে শিখেছেন এক রহস্যময় বল
করোনার কারণে ভারতে মার্চেই লকডাউনের শুরু হয়ে গিয়েছিল, যার পর খেলোয়াড়রা তো নিজেদের বাড়িতে বন্দী ছিলেন, অন্যদিকে ভারতীয় দলের স্পিন বোলার কুলদীপ যাদব এই লকডাউনে নিজের কোচ কপিল পাণ্ডের সঙ্গে কড়া মেহনত করছিলেন। কুলদীপ যাদব আগেই থেকেই একজন দারুণ চতুর বোলার ছিলেন, যিনি নিজের বোলিংয়ে আরও একটি নতুন বলে কাজ করেছেন। এর খোলসা স্বয়ং কুলদীপ যাদব করেছেন আর বলেছেন যে তিনি নিজের এই নতুন বলটিকে আইপিএলে ব্যবহার করতে পারেন।
এই ব্রেক আমাদের জন্য থেকেছে ভালো
এর খোলসা স্বয়ং কুলদীপ যাদব মিড-ডেকে দেওয়া একটি ইন্টারভিউতে করেছেন যেখানে তিনি বলেছেন যে, “আমি আবারও পান্ডে স্যারের সঙ্গে প্র্যাকটিস শুরু করে দিয়েছি, কিন্তু যতদূর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটের প্রশ্ন, আমি এটা যথেষ্ট মিস করছি। ভারতীয় দল একটা পরিবারের মতো আর আমরা সকলেই এটা মিস করছি। এখানে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশা রয়েছে আর আবারও ক্রিকেট শুরু হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। ভারতের হয়ে খেলা সবচেয়ে বড়ো প্রেরনা। এই ব্রেক বাস্তবে প্রত্যেক ক্রিকেটারের জন্য প্রয়োজন ছিল, যারা বর্তমানে ভারতের হয়ে খেলছেন। সম্ভবত এই তিন-চার মাস আমাদের একটা ফায়দা দেবে। যখন আবারও প্রতিযোগীতামূলক ক্রিকেট খেলা শুরু করব। সকলেই জানেন যে আমরা গত তিন-চার বছর ধরে নিয়মিত খেলছিলাম। এই কারণে এটা একটা ভালো ব্রেক”।
আইপিএলের আগে তৈরি হয়ে যাবে আমার সারপ্রাইজ ডেলিভারি
নিজের নতুন ধরেণের বোলিং নিয়ে তিনি বলেন যে, “আমি এই সময়ের ব্যবহার নতুন জিনিস শেখার আর ভিতের বিষয়কে ভালো করার জন্য করেছি। আমি আলাদা আলদা অ্যাঙ্গেলে বোলিং করার চেষ্টা করছি আর কিছু নতুন জিনিসও শিখছি। আমি নিজের নিয়ন্ত্রণ শুধরানোর উপর কাজ করেছি। ভীষণই স্পট বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং আর ওয়ার্কআউট করা ছাড়া আমি নিয়মিতভাবে অনেক প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলছি। রোভার্স মাঠ আমার বাড়ির একদম কাছে আর সৌভাগ্যবশত কোনো কোভিড-১০ পজিটিভ কেস নেই। এই কারণে এখানে সমস্যা নেই। আমি সারপ্রাইজ ডেলিভারির উপর কাজ করছি। আর আশা করছি যে এটা আইপিএলের আগে প্রস্তুত হয়ে যাবে। আমি এ ব্যাপারে বেশি বলতে চাই না, কারণ সারপ্রাইজ তো সারপ্রাইজ”।
থুতু ছাড়া বোলিং করার জমিয়ে প্র্যাকটিস
শেষে তিনি বলে থুতু লাগানো নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে বলেন যে, “আমি থুতু না লাগিয়ে জমিয়ে প্র্যাকটিস করেছি। যদিও শুরুতে আমার মনে হচ্ছুল যে বলে থুতু না লাগালে সমস্যা হবে। কারণ আমি ছেলেবেলা থেকে এমনটা করে এসেছিলাম। স্পিনারদের জন্য বলকে ড্রিফট করাতে আর বলের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর জন্য থুতুর প্রয়োজন হয় কিন্তু ঘাম দিয়ে কাজ চলতে পারে। এই বিষয়টা আমি প্র্যাকটিস চলাকালীন শিখে নিয়েছি”।