২০১৯ এর ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর থেকে এখনও অবধি খুব বেশি একটা ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়নি যুজবেন্দ্র চাহাল এবং কুলদীপ যাদবকে। এমনকি তাদের সুযোগ হয়নি সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টি সিরিজের দলে। যদিও এই দুই যুব ক্রিকেটারের দলে সুযোগ পাওয়া উচিত ছিলো বলেই মনে করেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ আকাশ চোপড়া। বিগত ২৪ মাসে নিজেদের প্রমাণ দিয়ে এসেছেন কুলদীপ-চাহাল।সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাদের কার্যকারিতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠার প্রসঙ্গ আসেনা।অথচ তাদেরই সুযোগ হলো না পরপর দুই সিরিজে।
লোয়ার অর্ডারে এমন কিছু ক্রিকেটার থাকবে যারা প্রয়োজনে রানটা ও করতে পারবে, এমন বিষয়টি মাথায় রেখে ইতিমধ্যে সাফল্য পেয়েছে ইংল্যান্ড। ঠিক এমনটাই এখন অনুকরণ করতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল ।এমনটাই মনে করছেন চোপড়া তার বক্তব্য, ” বিষয়টি হলো তোমার কাছে ব্যাটিংয়ের অপশনে গভীরতা থাকলে তুমি নানান পরীক্ষা নিরিক্ষা করতে পারো। ঠিক এমনটা করে সাফল্য পেয়েছে ইংল্যান্ড, যেমন তারা ৪০০ রান করতে চেয়েছে, এবং সাফলতাও পেয়েছে।”
“ঠিক এই একই আগ্রাসন টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে দেখানোর চেষ্টায় আছে ভারত। এবং এতে কোনও রকম ভুল দেখছি না আমি , কারণ ধারাবাহিক ভাবে টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২২০ রান করতে অনেকেই চান “। ” ৮,৯,১০ নম্বর ক্রিকেটারেরা যে ব্যাটিংয়েও পারদর্শী হবে এমনটা কেউই আশা করে না, কিন্তু যখন তুমি ২২০ রান স্কোরবোর্ডে তোলার চেষ্টা করবে তখন বিষয়টির মধ্যে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই”। অন্যদিকে সুনীল জোশি মনে করেন, এই দুই ক্রিকেটারের আপাতত ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করা উচিত তাদের ছন্দ ধরে রাখার জন্য।
” আমি পরামর্শ দিলে বলবো এই দুই ক্রিকেটারের উচিত ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলাটা চালিয়ে যাওয়া, এখন যখন তাদের সুযোগ হচ্ছে না আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তখন ছন্দ ধরে রাখাটা একান্ত জরুরি।এক্ষেত্রে ফিঙ্গার স্পিনার বা রিস্ট স্পিনার কোনও প্রসঙ্গ নয়।সাদা বলের ক্রিকেট মানেই হলো ছন্দ ধরে রাখা।অন্যদিকে আগামী বছর অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠিত হতে চলা টি টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপে বিষয়টি সম্পূর্ণ অন্যরকম হতে চলেছে, কারণ সেখানে বড়ো মাঠে খেলা ,এক্ষেত্রে ওভারস্পিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে ” । মন্তব্য জোশীর।