ভারতীয় ক্রিকেট দল সম্প্রতি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হওয়া দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজকে দুর্দান্তভাবে ২-০ ফলাফলে নিজেদের নামে করে সিরিজকে ক্লীন সুইপ করেছে। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ কলকাতার ইডেন গার্ডেনে খেলা হয়েছিল যেখানে ডে-নাইট টেস্ট ম্যাচ ভারত ইনিংস আর ৪৬ রানের ব্যবধানে জিতে নেয়।
কেএস ভরতের জন্য ডে-নাইট টেস্ট ছিল স্পেশাল
ভারতীয় ক্রিকেট দলের এই প্রথম ডে-নাইট টেস্ট ম্যাচ জয়ের সঙ্গেই স্মরণীয় হয় যা দলের প্রতিটা খেলোয়াড়ের জন্য স্পেশাল মুহূর্ত ছিল। কিন্তু দলের এই খেলোয়াড়দের মধ্যে এমন একজন খেলোয়াড় ছিল যে এই ম্যাচ কখনো ভুলতে পারবে না। আমরা এখানে কথা বলছি সেই খেলোয়াড়ের যাকে প্লেয়িং ইলেভেনে সুযোগ দেওয়া হয়নি কিন্তু এই খেলোয়াড়ের জন্য এই ম্যাচ আর সিরিজ জয় ভীষণই স্পেশাল হয়ে যায়। তিনি হলে কেএস ভরত।
জয়ের পর বিরাট কোহলি ভরতকে দেন ট্রফি
হ্যাঁ ভারতীয়ক্রিকেট দলের তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান কেএস ভরতের জন্যে এই ম্যাচ ভীষণই স্পেশাল হয়ে যায়। অন্ধ্রপ্রদেশের তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান কেএস ভরতকে ঋষভ পন্থকে রিলিজ করে দেওয়ার পর ঋদ্ধিমান সাহাকে কভার করার জন্য দলে নির্বাচিত করা হয়েছিল। কেএস ভরত এই ম্যাচের দ্বিতীয় দিন দলে যোগ দেন আর তাকে সিরিজ জয়ের পর অধিনায়ক বিরাট কোহলি জয়ের ট্রফি হাতে ধরিয়ে দেন। এই মুহূর্তকে স্মরণ করে শ্রীকর ভরত বড়ো কথা বলেছেন।
বিরাট ভাই ট্রফি দিয়ে আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন
কেএস ভরত বলছেন যে,
“বিরাট ভাই আমার কাছে আসেন আর তিনি আমার হাতে ট্রফি ধরিয়ে দেন। আমি জানতাম না কিভাবে রিঅ্যাকট করতে হবে আর কি বলতে হবে…। তখন বিরাট ভাই আমাকে বলেন যে দলে তোমাকে স্বাগত জানানোর জন্য এটা একটা ছোটো ঈশারা। এর আনন্দ নাও। তারপর রোহিত ভাই যিনি আমার কাছে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি আসেন আর আমাকে বলেন এই মুহূর্তের আনন্দ নাও। এটা আনন্দ করার আর অনুভব করার সময়। আমি ভীষণই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম আর কিন্তু যেভাবে ওরা আমার সঙ্গে ব্যবহার করেছেন সেটা ভীষণই খুশি করার মত ছিল”।
কখনো ভুলতে পারব না এই মুহূর্ত
ভরত আগে বলেন যে,
“আমার মা-বাবা আমাকে ট্রফির সঙ্গে দেখে ভীষণই খুশি হন আর গর্ব অনুভব করছিলেন। আমি নিজের জীবনে কখনো এই মুহুর্তকে ভুলতে পারব না। ড্রেসিংরুম শেয়ার করা আর এটা শেখাও… এটা আমাকে একজন তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে ভীষণই প্রেরিত করবে আর আমার বিশ্বাস যে আরো তরুণরাও প্রেরিত হবে”।