কলকাতা নাইট রাইডার্সের জন্য এখনো পর্যন্ত এই আইপিএল খুব ভাল যায়নি। কলকাতার দল এখনো পর্যন্ত এই মরশুমে ৯টি ম্যাচ খেলেছে, যার মধ্যে তারা মাত্র ৪টি ম্যাচ জিতেছে। কলকাতা নাইট রাইডার্সকে আজ তাদের ঘরের মাঠে আরসিবির বিরুদ্ধে হারের মুখে পড়তে হয়েছে।
কিং কোহলির সেঞ্চুরি
আইপিএলের ৩৫তম ম্যাচ কলকাতা নাইট রাইডার্স আর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর মধ্যে খেলা হয়েছে। এই ম্যাচে কলকাতা টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাঙ্গালুরুর দল প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলি ১০০ আর মইন আলির ৬৬ রানের সাহায্যে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান করে।
লক্ষ্য তাড়া করতে নামা কলকাতার শুরুটা ভীষণই খারাপ হয়। কলকাতার দল প্রথম ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩৭ রানই করতে পারে। শেষের ওভারে নীতিশ রাণা আর অ্যান্দ্রে রাসেল ম্যাচে ফেরার অবশ্যই চেষ্টা করেন কিন্তু নিজের দলের হারকে তারা বাঁচাতে পারেননি। কলকাতার দল এই ম্যাচ ১০ রানে হেরে যায়।
১. লাগাতার ৩ হারের পরও দলে কোনো পরিবর্তন না করা
দীনেশ কার্তিকের দলকে গত তিনটি ম্যাচে লাগাতার হারের মুখে পড়তে হয়েছে। তারপরও কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক দলে কোন পরিবর্তন করেননি। কলকাতার দল গত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে আর তিনটি ম্যাচেই লাগাতার হারে।
২. রবিন উথাপ্পার স্লো ইনিংস হল হারের কারণ
লক্ষ্যা তাড়া করা কলকাতা নাইট রাইডার্সের দল প্রথম ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। এরপর ব্যাটিং করতে আসা রবিন উথাপ্পা বড়ো শাট মারার চেষ্টাই করেননি আর ধীরে খেলতে থাকেন। রবিন উথাপ্পা এই ম্যাচে ২০ বল খেলে মাত্র ৯ রানই করতে পারেন। যে কারণে কলকাতার দলকে হারের মুখে পড়তে হয়।
৩. মইন আলির ক্যাচ নেওয়ার পরও করেনি কোনো অ্যাপিল
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর ব্যাটিং করার সময় কলকাতার দল আরো একটা বড়ো ভুল করে বসে। ব্যাঙ্গালুরুর ইনিংসের ১১তম ওভারের শেষ বলে আরসিবির ব্যাটসম্যান মইন আলি বড়ো শট খেলার চেষ্টা করেন আর বলতার ব্যাটের কোনায় লেগে উইকেটকিপার দীনেশ কার্তিকের হাতে যায় কিন্তু এরপর তিনি কোনো অ্যাপিলই করেননি। মইন আলি সেই সময় মাত্র ৯ রানে খেলছিলেন। এই জীবনদান পাওয়ার পর তিনি ২৮ বল খেলে ৬৬ রান করে ফেলেন যা কলকাতার হারেরও বড়ো কারণ হয়ে দাঁড়ায়।