বাংলার গর্ব সৌরভ গাঙ্গুলী ক্রিকেট থেকে অবসরে যাওয়ার সময় ভারতীয় ক্রিকেটকে মহেন্দ্র সিং ধোনির মত একটি বড় সম্পদ দিয়ে গিয়েছিলেন। এমএস ধোনি হচ্ছেন শান্তির উপমা যিনি রঞ্চির ছোট এক শহর থেকে উঠে এসেছেন। অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার আরেক নাম মহেন্দ্র সিং ধোনি। নিজের ছোট শহরে বেড়ে ওঠার সময় ছোটবেলায় পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন তিনি।
এত সীমাবদ্ধতার মধে বেড়ে ওঠার পরও পরবর্তীতে ভারত জাতীয় দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পান এবং নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেন। তাঁর অধিনায়কত্বে তিনি ভারতকে প্রত্যেকটি আইসিসি ট্রফি জেতান যেগুলো বিগত বছরগুলোতে ভারতের জন্য স্বপ্ন ছিল জয় করা।
শচীন তেন্ডুলকর থেকে ডন ব্র্যাডম্যান, অনেক বড় খেলোয়াড়ের সাক্ষী হয়েছে ক্রিকেট যারা ব্যাট হাতে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন নিজেদের পুরো ক্রিকেট ক্যারিয়ার জুড়েই। ভারতের বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলিও এমনই একজন ব্যাটসম্যান যিনি ব্যাট হাতে একের পর এক রেকর্ড ভেঙ্গে চলেছেন।
মহেন্দ্র সিং ধোনি আর বিরাট কোহলির মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
ব্যাটিং টেকনিক হতে শুরু করে অধিনায়কত্ব দক্ষতা, কোহিলির সাথে সাবেক অধিনায়ক ধোনিরর আচরণগত ভাবে অনেক পার্থক্যই রয়েছে। যখন সংবাদ সম্মেলন চলাকালীন সাংবাদিকদের বিপজ্জনক প্রশ্নে অদ্ভুত পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয়, ধোনির অনুপস্থিতি ভারত খুব ভালো ভাবেই টের পায়।
উইকেটকিপিংয়ের বিষয়টি বিবেচনায় আনলে মহেন্দ্র সিং ধোনি উইকেটের পেছনে দায়িত্ব পালনে নিজেকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন যেখানে কেউ স্বপ্নেও তাঁর পর্যায়ে যাওয়ার কথা ভাবতে পারবে না।
৩৭ বছর বয়সী ধোনি সব সময়ই নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রনে রাখেন এবং সহজে তাঁর মেজাজ হারান না। প্রচন্ড চাপ ও ম্যাচের পরিস্থিতিতেও তিনি সবসময় একটি শান্ত এবং সমন্বিত মনোভাব প্রদর্শন করেন। তবে সত্যি বলতে কোহলি ধোনির চেয়ে টেকনিক্যালি ভালো ব্যাটসম্যান।
তবে, এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানে এমএস ধোনির সাথে কোহলির কখনই মেলে না
কোহলি প্রায়ই ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময় নিজের মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। প্রায় নয় বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেললেও এখনও মাঠে অতিরিক্ত উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনেকটা সদ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা দেয়া ক্রিকেটারদের মত।
পাশাপাশি প্রতিপক্ষ দলকে উদ্দেশ্য করেও নিজের আবেগ প্রকাশ করেন কোহলি এবং প্রায়ই প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দেরকে গালি দেন যেটা তাঁর সাথে খুবই বেমানান।
অনেক ছোট ছোট বিষয়েও নিজের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন না ধোনি যার ফলে প্রায় তাঁর অসদাচারন ক্যামেরায় ধরে পড়ে। পাশাপাশি সিরিজ খেলতে যেখানেই যান না কেন সাথে করে আনুষ্কা শর্মাকে নিয়ে যান তিনি যেটা ধোনির ধোনির ক্ষেত্রে খুব একটা পরিলক্ষিত হয় না।