ইডেন গার্ডেনে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৫০ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে কোহলীর দল। কপিল, কুলদীপ ও কলকাতা ; বৃহস্পতিবার একই সুত্রে বাঁধা পড়ল শব্দ তিনটি। মাত্র ২৫৩ রানের লক্ষ্যেই রীতিমতো খাবি খেয়েছে সফরকারীরা। কিন্তু ম্যাচ–পরবর্তী আলোচনায় সেসব কোনো গুরুত্ব পাচ্ছে না। এই প্রথম কোনো চায়নাম্যান বোলার হ্যাটট্রিক করলেন ওয়ানডেতে। এরপর কি আর অস্ট্রেলিয়ার হারের কথা কারও মাথায় থাকে! এই কলকাতায় ই ১৯৯১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইডেনকে প্রথম তিন বলে তিন উইকেট দেখার সুযোগ করে দিয়েছিলেন কপিল দেব। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। শুরুতেই রোহিত শর্মার (৭) উইকেট হারায় ভারত। তবে তারপরেই জুটি বেঁধে দলের হাল ধরেন প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ অজিঙ্কা রাহানে ও বিরাট কোহলী। ব্যক্তিগত ৫৫ রানে রাহানে আউট হলেও দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন অধিনায়ক কোহলি। নিজের মত খেলে ই করেন ৯২ রান। তবে বাকিরা কেউই সেভাবে রান পাননি এদিন। কেদার যাদব ২৪ রান ছাড়া হার্দিক পান্ডিয়া ও ভুবনেশ্বর দু’জনেই ২০ রান করে করেন। মানিশ পান্ডে (৩) ও মহেন্দ্র সিং ধোনি (৩) এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন। নির্ধারিত ৫০ ওভারই খেলে ভারত ২৫২ রানে অল আউট হয়ে যায়। ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলী ম্যাচ শেষে জানান যেই রান স্কোর বোর্ডে জমা হয়েছিল তা একেবারে নিরাপদ ছিল না, তবে তারা জানতেন শুরু আঘাত হানতে বাড়লে সম্ভবনা আছে।
তিনি বলেন, “আমরা স্কোর বোর্ডে যথেষ্ট রান তুলতে পারি নাই, কিন্তু আমরা জানতাম শুরুতে উইকেট তুলতে পারলে সম্ভবনা আছে ম্যাচ জয়ের। তবে যদি উইকেট তুলতে না পারি জয় পাওয়া কঠিন হবে।” কোহলী জানান ব্যাটিং এর জন্য উইকেট সহজ ছিল না। তার বোলারদের উপর বিশ্বাস ছিল। ভূবেনশ্বর অসাধারন বোলিং করেন। উইকেট তুলে নেওয়ার জন্য তার উপর আস্থা রাখা যায়। তিনি বলেন, “সত্যি বললে উইকেট ব্যাটিং সহায়ক ছিল না। ভূবেনশ্বর শুরুর বোলিং টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল কারন আমরা জানতাম আমাদের রিস্ট স্পিনাররা মাঝের দিকে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। ভূবেনশ্বর অসাধারন বোলিং করেছিল। উইকেট নেওয়ার জন্য তার উপর ভরসা রাখা যায়।” কোহলী তার স্পিনারদেরও প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ” আমাদের স্পিনাররা বেশ ভাল বোলিং করেছেন। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের ভাল পরীক্ষায় ফেলেছে তারা। দুজন তরুণ বোলার দলের জন্য অনেক কার্যকরী। “