শ্রীলঙ্কা সফরে সবকটি ম্যাচ জিতেই দেশে ফিরছে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় ক্রিকেট দল। ৩ টেস্ট, ৫ ওয়ানডের পর গতকাল অনুষ্ঠিত হওয়া একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও শেষ হাসি অতিথিদের। নিজের পঞ্চাশতম টি- টোয়েন্টিতে দারুণ এক ফিফটিতে দলকে জিতিয়েছেন বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। সফরের শেষ ম্যাচে ভারতের ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায়। স্বাগতিকদের দেওয়া ১৭১ রানের লক্ষ্যে ৪ বল বাকি থাকতে উইনিং রানটি নেয় ভারত। তবে বড় লক্ষ্যে দ্রুত রান তোলা ভারত ৬ ওভারের মধ্যে হারায় দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে। দুই অঙ্কে যাওয়ার আগেই রোহিত শর্মাকে বিদায় করেন লাসিথ মালিঙ্গা। সিকুগে প্রসন্নর বলে দাসুন শানাকার দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরেন লোকেশ রাহুল। শুরুতে একটু ভুগছিলেন কোহলি। তবে স্বরূপে ফিরতে বেশি সময় লাগেনি। দারুণ সব শটে এলোমেলো করেছেন লঙ্কানদের বোলিং। রান তাড়ায় নিজের ঈর্ষণীয় রেকর্ড করেছেন আরেকটু উজ্জ্বল।
লক্ষ্য তাড়ায় সবচেয়ে বেশি রান, এই ম্যাচেই নিয়ে গেছেন চার অঙ্কে। লক্ষ্য তাড়ায় ফিফটি করাকে এক রকম অভ্যাসে বানিয়ে ফেলেছেন কোহলি। শেষ ১১টি সফল লক্ষ্য তাড়ায় এনিয়ে করলেন ৮টি ফিফটি।। ৫৪ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ৮২। এই ইনিংসেই ম্যাচ মুঠোয় নেয় ভারত। এর আগে দিলশান মুনাবিরার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত সূচনা পায় শ্রীলঙ্কা। ওয়ানডে সিরিজে পুরোপুরি ব্যর্থ বিস্ফোরক টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ২৯ বলে ৫টি চার আর ৪টি ছক্কায় করেন ৫৩। প্রথম ১০ ওভারে ৯০ রান সংগ্রহ করা স্বাগতিকরা মুনাবিরার বিদায়ের পর রানের গতি ধরে রাখতে পারেনি। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মধ্যে প্রতিরোধ গড়া আশনা প্রিয়াঞ্জন ৪০ বলে অপরাজিত ছিলেন ৪০ রানে।
দেখে নিন ম্যাচ জয়ের পর যা বললেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি :
“এটা খুবই বিশেষ কিছু, যা আগে কখনই করতে পারি নি। সব কৃতিত্ব ছেলেদের পরিশ্রমের যা তারা পুরো সিরিজ জুড়েই করে আসছিল। এটাই প্রমাণ দেয় ভারতে ক্রিকেড়ে খেলোয়াড়রা কতটা ক্ষুধার্ত জয়ের জন্য। একজন দলনেতা হিসেবে আমি খুবই খুবই খুশি। আমি যদি টি২০ ক্রিকেটে আমার ক্ষমতার দিকে পিছু ফিরে তাকাই তাহলে দেখা যাবে আমি অনেক কঠিন পরিশ্রম করেছি সব ফরমেটে ভালো করার জন্য। যখন ১৭১ চেজ করতে গিয়ে শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়েছিলাম, আমরা জানতাম এটা সহজ হবে না। পাশাপাশি মনিষও আজকে অসাধারণ ছিল।”