ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (সিপিএলে) ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক কিং শাহরুখ খানের দল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স তাদের দলে পাকিস্তানি সাদাব খানের পরিবর্তে আরেক পাকিস্তানি ইয়াসির শাহকে দলে নিয়ে বলে গত ৭ তারিখ নিশ্চিত করেছে। পাকিস্তানের হয়ে খেলার জন্য টুর্নামেন্টের মাঝ পথে সাদাব খান চলে যায়। এই অফ স্পিনার লাহোরে পাকিস্তান ও বিশ্ব একাদশের মধ্যে যে টি-টুয়েন্টি সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে তাতে অংশগ্রহণ করবেন। সিপিএলের অভিষেক বেশ স্মরণীয় ই হল এই তরুণ স্পিনারের। আট ম্যাচে তুলে নিয়েছেন বারো উইকেট, পাশাপাশি ব্যাট হাতেও করেছেন ৪৬ রান। যার মধ্যে আছে সেন্ট লুসিয়া স্টারের বিরুদ্ধে ত্রিশ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস। এদিকে ইয়াসির শাহ্কে তার পরিবর্তে নেওয়া হলেও ইয়াসির শাহ্ স্বল্প দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে এখনো নিজেকে মেলে ধরতে পারেন নি। টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানের অন্যতম এই তারকা টি-টুয়েন্টি খেলেছেন ই কেবল দুটি ; তাও ছয় বছর আগে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে।
সাদাব খান পাকিস্তান টি- টোয়েন্টি দলে সুযোগ পেয়ে অভিষেকেই সবচেয়ে কিপটে বোলিংয়ের রেকর্ড গড়ে ছিলেন। এবছরের শুরুর বার্বাডোজে চার ম্যাচের টি- টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল পাকিস্তান। ওই ম্যাচে চার ওভার বল করে ৭ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট পান সাদাব। ম্যাচসেরাও নির্বাচিত হন তিনি। সাদাবের আগে অভিষেকে সবচেয়ে কিপটে বোলিংয়ের রেকর্ড ছিল কানাডার স্টিভেন ওয়েলশের। অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার ২০০৮ সালে বারমুডার বিপক্ষে অভিষেকে ৩ ওভারে ৬ রান দিয়ে দুটি উইকেট পেয়েছিলেন। তারকা ক্রিকেটারদের মধ্যে ভারতের ভুবনেশ্বর কুমার ২০১২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেকে ৪ ওভারে ৯ রান দিয়ে তিনটি উইকেট শিকার করেছিলেন। অন্য দিকে ইয়াসির শাহ্ বিভিন্ন লীগে ৬৯ ম্যাচে ৬.৬৮ গড়ে ৬০ উইকেট পেয়েছেন।
তবে টেস্ট ক্রিকেটে অসাধারন বোলিং করেন এই লেগ স্পিনার। দ্বিতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে টেস্টে ১০০ উইকেট পাওয়ার রেকর্ডও ইয়াসির শাহর। নিজের ১৭তম টেস্ট ম্যাচে এমন কীর্তি গড়ে ছিলেন এ লেগস্পিনার। টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে কম ম্যাচে ১০০টি টেস্ট উইকেটের রেকর্ডটি এখনো প্রয়াত সাবেক ইংলিশ পেসার জর্জ লোহম্যানের দখলেই। ক্যারিয়ারের ১৬তম টেস্টে তিনি উইকেট সংগ্রহে তিন অঙ্কের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন। ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের কোচ সাইমন ক্যাটিচ ইয়াসির শাহকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন এই লেগ স্পিনারের অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ হবে তাদের জন্য। তিনি বলেন, “টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে উইকেট নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং একজন লেগ স্পিনার হিসেবে সে এই কাজটা ভাল করবে। আমরা এখন টুর্নামেন্টের শেষের দিকে। আমি আশাকরি ইয়াসির শাহর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দ্বিতীয় বারের মত আমাদের সিপিএলের সিরোপা জিততে সাহায্য করবে।”