আইপিএলের আগামি মরশুমের প্রস্তুতির মধ্যে সমস্ত দলগুলি সেই খেলোয়াড়দের রিলিজ করে দিয়েছে যারা তাদের দলে ফিট হচ্ছিলেন না। এই তালিকায় কলকাতা এম সিদ্ধার্থকে রিলিজ করে দিয়েছে, কিন্তু সম্ভবত কলকাতা তাঁকে রিলিজ করে পস্তাচ্ছে। কারণ এই খেলোয়াড়কে রিলিজ করার পর তিনি এখন ম্যাচ উইনার হয়ে উঠেছেন।
কলকাতা করেছিল রিলিজ
কলকাতা নাইট রাইডার্স এই মরশুমে শুভমান গিল, দীনেশ কার্তিক, নীতিশ রাণা, কুলদীপ যাদব, কমলেশ নাগরকোটি, শিভম মাভি, বরুণ চক্রবর্তী, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, রিংকু সিং, সন্দীপ ওয়ারিওর, নিখিল নাইক আর রাহুল ত্রিপাঠি, অ্যান্দ্রে রাসেল, প্যাট কমিন্স, ইয়োন মর্গ্যান, সুনীল নারিন, হ্যারি গর্নি, লাকি ফার্গুসনকে রিটেন করেছে।
অন্যদিকে তারা টম ব্যান্টন, সিদ্ধেশ ল্যাড, নিখিল নাইক, এম সিদ্ধার্থকে রিলিজ করে দিয়েছে। দল থেকে বাদ পড়া বেশিরভাগ খেলোয়াড়রা বেশি ভালো প্রদর্শন করতে পারেনি। অন্যদিকে দল থেকে রিলিজ হওয়া তারকা ক্রিকেটার এম সিদ্ধার্থ বর্তমানে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েহেন। তিনি এটা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে কলকাতা তাকে রিলিজ করে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এম সিদ্ধার্থ হলেন ম্যাচ উইনার
বাঁহাতি স্পিন বোলার এম সিদ্ধার্থের স্পিনের জাদুর সৌজন্যে তামিলনাড়ু সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনালে বরোদাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নামা বরোদার দল এম সিদ্ধার্থের স্পিনের জালে আটকা পড়ে যায়। সিদ্ধার্থ এই ম্যাচে ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। এই ম্যাচে বরোদার দল বিষ্ণু সোলাঙ্কি (৪৯), অতীত শেঠের (২৯) ভালো ব্যাটিং সত্ত্বেও মাত্র ১২০ রানই করতে পারে। যার জবাবে মাঠে নামা তামিলনাড়ি সি হরি নিশান্ত (৩৫) বাবা অপরাজিত (অপরাজিত ২৯) আর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকের (২২) ইনিংসের সৌজন্যে ১২ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয়।
ফাইনালে এম সিদ্ধার্থ হলেন ম্যান অফ দ্য ম্যাচ
ফাইনালে নিজের দুর্দান্ত প্রদর্শনের সৌজন্যে এম সিদ্ধার্থ ম্যান অফ দ্যা ম্যাচও হয়েহেন। আইপিএল ২০২০র নিলামে সিদ্ধার্থকে কলকাতা নাইট রাইডার্স ২০ লাখ টাকার বেস প্রাইসে কিনেহিল। যদিও এমন প্রদর্শন দেখে আশা রয়েছে যে আগামী নিলামে তিনি আরও বেশি দামে বিক্রি হবেন।