দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। পর পর ছয়টি ম্যাচ হেরে এবছর বিরাট বাহিনীর মনোবল একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। সেক্ষেত্রে এই জয় তাদের যে নতুনভাবে উজ্জীবিত করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। দল জয়ের রাস্তায় ফেরাই এদিন স্বভাবত খুশী দেখালো এবিডি কে। এদিন ম্যাচের সেরাও তিনি । খেলেছেন ৩৮ বলে ৫৯ রানের ইনিংস। এছাড়াও এদিন দলের জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং মার্কাস স্টোনিস। এদিন বল হাতে ফের দুরন্ত হয়ে উঠলেন স্পিনার যজুবেন্দ্র চহেল।
এদিন ফের পরিচিত মেজাজে মোহালির মাঠে অবতীর্ণ হলেন “ক্যারিবিয়ান জায়ান্ট “ ক্রিস গেইল। ৬৪ বলে ৯৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। মূলত তার স্কোরের উপর ভর করেই ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৩ রান তোলে পাঞ্জাব।স্কোরটা অন্যরকম হতেই পারতো যদি অশ্বিনের দলের অন্যান্য ব্যাটসম্যান রা ক্রিস কে যোগ্য সঙ্গত দিলে।
এদিন ম্যাচ শেষে তৃপ্তির সুর এবি ডেভিলিয়ার্সের গলায়। এমন একটা জয়ের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন তিনি।এবং অবশেষে তা পূরণ হওয়ায় খুশী গোটা দল।দলের এই জয়কে সঠিক দিশার দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রথম ধাপ হিসাবে দেখছেন তিনি।টুর্নামেন্টের শুরু থেকে পরপর ছয়টি ম্যাচে অধরা জয়।বিষয়টি একবারে মেনে নিতে পারছিলো না এই তারকা দক্ষিন আফ্রিকান ক্রিকেটার।এমন একটা জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ছিলেন তিনি।অন্যদিকে সদ্য ব্যাঙ্গালুরু দলে যোগ দিয়েছেন ডেইল স্টেন। জাতীয় দলের সতীর্থ এবং খুব কাছের বন্ধু কে দলে পাওয়ায় খুশী এবিডি। এমন একটি সংযুক্তিকরন কে দলের ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখছেন তিনি।স্টেনের ক্ষমতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তিনি।প্রতি ডেলিভারি তে নিজের ২০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করেন এই সাউথ আফ্রিকান স্পিডস্টার।যা তাদের পরবর্তী ম্যাচ গুলিতে সাহায্য করবেন বলেই মনে করছেন তিনি।প্রসঙ্গত, মোহালির মাঠে অশ্বিনদের হারানোর পর আগামী ম্যাচে ওয়াংখেড়েতে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মুখোমুখি হতে চলেছে বিরাটরা।