ভারতীয় ক্রিকেট দলের মহান অধিনায়ক আর উইকেটকপার ব্যাটসম্যান মহেন্দ্র সিং ধোনি এই বছরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। মহেন্দ্র সিং ধোনি ভারতীয় দলের হয়ে প্রায় ১৬ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। যার মধ্যে তিনি অধিনায়ক, ব্যাটসম্যান আর উইকেটকিপার হিসেবে বেশকিছু অসাধারণ কৃতিত্ব স্থাপন করেছেন।
মহেন্দ্র সিং ধোনির নাম আজ বিশ্ব ক্রিকেটে স্পেশাল
মহেন্দ্র সিং ধোনি ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে অভূতপূর্ব সফলতা এনে দিয়েছিলেন। তিনি নিজের অধিনায়কত্বে আইসিসির তিনটি ট্রফিই জিততে সফলতা পেয়েছিলেন যা অন্য কোনো অধিনায়ক করে দেখাতে পারেননি। ভারতের হয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনি ২০০৪ সালের শেষ দিকে ডেবিউ করেছিলেন। তাকে দলে উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল আর তারপর থেকে তিনি কখনও পেছনে ফিরে তাকাননি, আর আজ তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে সেরা ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন।
কিরণ মোরে জানালেন, কীভাবে ধোনি টিম ইন্ডিয়ায় প্রবেশ ঘটেছিল
মহেন্দ্র সিং ধোনির টিম ইন্ডিয়ায় নির্বাচন হওয়ার সময় ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক ছিলেন কিরণ মোরে। কিরণ মোরে সম্প্রতিই একটি ইন্টারভিউ চলাকালীন খোলসা করেছেন যে তিনি কোন পরিস্থিতিতে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে টিম ইন্ডিয়ার টিকিট দিয়েছিলেন। কিরণ মোরে জানিয়েছেন যে, “যখন ধোনির নির্বাচন বাংলাদেশ সফরের জন্য করা হয়েছিল, এটা সেই সময় ছিল যখন টিম ইন্ডিয়া নিয়মিত উইকেটকিপার পরিবর্তন করে চলেছিল। ওয়ানডেতে রাহুল দ্রাবিড় উইকেটকিপার ছিলেন আর উনি ভালো প্রদর্শন করছিলেন। উনি ৭২টি ওয়ানডেতে ৭১টি ক্যাচ আর ১৩টি স্ট্যাম্প করেছিলেন”।
রাহুল দ্রাবিড়কে উইকেটকিপিং থেকে বিশ্রাম দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছিল ধোনিকে
আগে এই ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে কিরণ মোরে বলেন যে, “রাহুল দ্রাবিড় ৭৫টি ওয়ানডেতে এই দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আমরা রাহুলকে বিশ্রাম দিতে চেয়েছিলাম, এর মধ্যে মহেন্দ্র সিং ধোনি ইন্ডিয়া এ দলের হয়ে ভালো ব্যাটিং করছিল। কেনিয়াতে ধোনিকে খেলার সময় আলাদাই দেখাচ্ছিল যেভাবে ও খেলাটা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। ওই সফরে ধোনি ৬০০ রান করে। আমাদের কাছে যুবরাজ সিংয়ের মতো খেলোয়াড় আগে থেকেই ছিল, ও কমপ্লিট প্যাকেজ ছিল। ও ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ঝড় তুলে দিয়েছিল”।