কোর্টের নির্দেশে ফের ধাক্কা খেল 2011 বিশ্বকাপ জয়ী সদস্যের ক্রিকেট কেরিয়ার 1

কেরালা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে সান্তাকুমারণ শ্রীশান্থের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ আবার বিশবাঁও জলে। আজ মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চ বিসিসিআই এর আবেদনে সম্মতি জানিয়ে শ্রীশান্থের আজীবন নির্বাসনের রায় কেই বহাল রাখল। এর আগে আগস্ট মাসে কেরালা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ শ্রীশান্থের আজীবন নির্বাসনকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে তার উপর থাকা অভিযোগকে খারিজ করেছিল। এরফলে শ্রীশান্থ ও আবার বাইশ গজে ফেরার স্বপ্ন দেখছিলেন। কিন্তু আজকের রায়ে সে সব কিছু বেকার হতে চলেছে।

আজকের রায়ে ডিভিশন বেঞ্চের প্রধান বিচারপতি নাভনীতি প্রসাদ সিং জানান যে বিসিসিআই এর আজীবন নির্বাসনের শাস্তিকে পুনর্বিবেচনা করে কোর্টর এই শাস্তিকে প্রত্যাহার করার এক্তিয়ার নাই। তাই বিসিসিআই এর শাস্তিই বহাল থাকবে। কোর্ট গত দুই দিন যাবৎ এই পিটিশন শোনার পরে এই রায় দিল। এর ফলে সামনের রঞ্জি তো বটেই বিসিসিআইয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা কোনো রাজ্য সংস্থার স্টেডিয়ামেও শ্রীসন্থ প্র্যাক্টিস করতে পারবেন না।

এই রায়ের ফলে অস্বস্তিতে পড়ল Keraral Cricket Association. আজীবন নির্বাসনের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই তারা শ্রীসন্থকে সমর্থন করে এসেছে। আজকের রায়ের পর কেএফএ সেক্রেটারি জয়েস জর্জ জানান তারা শ্রীসন্থকে ম্যাচ ফিট করে তোলার জন্য সব রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু কোর্টের রায়কে তারা সম্মান জানাচ্ছেন।

শ্রীশান্থের কাছে এখন একটাই পথ খোলা থাকল। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আপেক্স কোর্টে যাওয়া। শ্রীশান্থ ঘনিষ্ট একজন জানাচ্ছেন সেই ব্যাপারে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছেন কেরালার এই পেসার।

এই রায় বেরোনোর পরে স্বভাবতই হতাশ শ্রীসন্থ। টুইট করে একের পর এক তোপ দেগেছেন তিনি। কখনো বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে তো কখনো চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে। আবার লোধা কমিশনের রিপোর্ট তুলে ধরে রিপোর্টে অভিযুক্ত 13 জনের বিরুদ্ধে বিসিসিআই কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন।

উল্লেখ্য 2015 এর আইপিএল চলাকালীন দিল্লি পুলিশের অভিযানে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে যুক্ত থাকার অভিযোগে শ্রীসন্থ সহ রাজস্থান রয়্যাল এর তিনজন প্লেয়ার গ্রেপ্তার হন। পরে অরুন জেটলির নেতৃত্বে বিসিসিআইয়ের ডিসিপ্লিনারি কমিটি তাঁদেরকে আজীবন ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *