ভারত আর বাংলাদেশের জুনিয়র দলের মধ্যে অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ ৯ ফেব্রুয়ারি খেলা হয়েছিল। এই ম্যাচ নিজেদের দুর্দান্ত প্রদর্শনের সৌজন্যে বাংলাদেশের দল ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতির নিয়মে ৩ উইকেটে জিতে নেয় আর এই জয়ের সঙ্গেই তারা অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়।
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতি
বাস্তবে খেলার ব্যাপারে দুই দলই দারুণ প্রদর্শন করেন আর মাঠে একটা কড়া প্রতিদ্বন্ধীতাও দেখতে পাওয়া যায়, কিন্তু ম্যাচের পর দুই দলের খেলোয়াড়রাই একে অপরকে গালাগাল দিয়ে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করেন আর তারপর দেখতে দেখতেই মাঠের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও শুরু করে দেন। এই পুরো বিষয়টিতে আইসিসিও মঙ্গলবার ভারত-বাংলাদেশের মোট পাঁচজন খেলোয়াড়ের (তিনজন বাংলাদেশী আর দুজন ভারতীয়) উপর অনুশাসনহীনতার জন্য অ্যাকশন নেয় আর আচার সংহিতার উলঙ্ঘন করার জন্য সাসপেনশন পয়েন্টসও দিয়েছে।
বিসিসিআই কঠিন পদক্ষেপ নিক
প্রাক্তন বিশ্বজয়ী অধিনায়ক কপিলদেব ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’র সঙ্গে কথাবার্তায় দাবী করেছেন যে ওই খেলোয়াড়দের উপর বিসিসিআই কঠিন পদক্ষেপ নিক আর তাদের শিক্ষা দিক। তিনি বলেছেন যে ক্রিকেট নিজের বিপক্ষকে গালাগালি দেওয়ার খেলা নয়। দ্য হিন্দু কপিলদেবের বয়ানে লিখেছে,
“আমি চাই যে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) এই খেলোয়াড়দের উপর কঠিন পদক্ষেপ নিক আর একটা উদাহরণ পেশ করুক। ক্রিকেটের মানে বিপক্ষ দলকে গালাগালি দেওয়া নয়। আমি এই বিষয়টি নিয়ে আশ্বস্ত রয়েছি যে বিসিসিআইয়ের কাছে এই তরুণদের সঙ্গে ডিল করার স্পষ্ট কারণ রয়েছে”।
সংযম রাখা জরুরী
কপিলদেব আগে নিজের কথা বলতে গিয়ে বলেন,
“খেলা চলাকালীন উৎসাহিত হওয়ায় কোনো সমস্যা নেই কিন্তু তার উপর সংযম রাখা জরুরী। প্রতিদ্বন্ধী হওয়ার জন্য আপনি সীমা ছাড়াতে পারেন না। আমি বলব যে এটা মেনে নেওয়ার মতো বিষয় নয় যে তরুণরা এই ধরণের আচরণ করবে”।
প্রসঙ্গত দোষী খেলোয়াড়দের মধ্যে বাংলাদেশের তৌহিদ হৃদয়, তামিম হুসেন, রকিবুল হুসেনের নাম শামিল রয়েছে অন্যদিকে ভারতের দিক থেকে আকাশ সিংহ আর রবি বিষ্ণোইয়ের নাম শামিল রয়েছে।