কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বাধীন নিউজিল্যান্ড দল ভারতের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ক্লীন সুইপ করেছে। শেষ ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ড ভারতকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচের সঙ্গে সিরিজও নিজেদের নামে করে ফেলেছে। ভারতের বিরুদ্ধে ক্লীন সুইপ করার পর উইলিয়ামসন বলেছেন যে অসাধারণ ভারতীয় দলের সামনে এইভাবে জেতা দুর্দান্ত।
কেন উইলিয়ামসন করলেন বোলারদের প্রশংসা
এই ম্যাচ জেতার পর নিজের পোষ্ট ম্যাচ প্রেজেন্টেশনে কেন উইলিয়ামসন বলেন,
“নিউজিল্যান্ড দল উৎকৃষ্ট প্রদর্শন করেছে। ৫-০ ফলাফলে টি-২০ সিরিজ হারানোর পর ভারত আমাদের চাপে ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু যেভাবে আমাদের বোলাররা বল হাতে প্রদর্শন করেছে আর ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের খেলতে দেয় নি সেটা দেখার মতো ছিল”।
ভারতের মতো শক্তিশালী দলের সঙ্গে জেতা সুখের অনুভূতি
কেন উইলিয়ামসন আগে বলেন,
“যখন ওয়ানডে সিরিজ শুরু হয় তো আমরা টি-২০র চেয়ে একদমই আলাদা তথা উৎকৃষ্ট প্রদর্শন করেছি। সকলেই জানেন যে ভারতীয় দল ওয়ানডে ক্রিকেতে কতটা শক্তিশালী দল আর আমরাও এটা জানতাম, কিন্তু আমাদের সমস্ত খেলোয়াড়দের মনে নিজের নিজের ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট স্পষ্টতা ছিল। এটাই আমাদের প্রদর্শনের কারণ হয়েছে। ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিরিজ জেতার পর দুর্দান্ত মোমেন্টামের সঙ্গে খেলছিল। এই কারণে আমি বলব যে ভারতের মতো দলের সঙ্গে জেতা আমাদের জন্য ভীষণই ভালো অনুভূতি”।
ভারতীয় দলের লজ্জাজনক হার
নিউজিল্যান্ড ভারতের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজকে ক্লীন সুইপ করেছে। শেষ ওয়ানডে ম্যাচে নিউজিল্যাণ্ড ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচের সঙ্গে সিরিজও পকেটে পুরে ফেলেছে। মার্টিন গুপ্তিল ৪৬ বলে ৬৬ রান করেন। হেনরি নিকোলস ৮৮ রানের ইনিংস খেলেন। এই দুজনের মধ্যে প্রথম উইকেটের হয়ে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ হয়। ম্যাচের শেষ কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম করেন। তিনি ২৮ বলে অপরাজিত ৫৮ রান করেন।
৩১ বছর পর কোনো দল করল ভারতকে ক্লীন সুইপ
ওয়েস্টইন্ডিজ ভারতকে ১৯৮৯ তে ঘরের মাঠে ৫-০ ফলাফলে হারিয়েছিল। এরপর থেকে টিম ইন্ডিয়াকে তিন বা তার চেয়ে বেশি ম্যাচের সিরিজে কোনো দলই ক্লীন সুইপ করতে পারেনি। অন্যদিকে ২০০৬ এও ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে কোনো ম্যাচ না জিতেই ফিরেছিল। তখন একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে রদ হয়ে গিয়েছিল, অন্যদিকে বাকি চারটি ম্যাচে ভারত হেরে গিয়েছিল।