আইপিএলের ত্রয়োদশ মরশুম নিজের পুরো রোমাঞ্চের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। এই রোমাঞ্চের মধ্যে একের পর এক বড়োই দুর্দান্ত ম্যাচ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এই আইপিএলে ব্যাটসম্যানদের তো ধামাকেদার প্রদর্শন থেকেছে, কিন্তু সেই সঙ্গে স্পিন বোলাররা যথেষ্ট প্রভাবশালী প্রদর্শন করেছে। আইপিএলের এই মরশুমে কিছু স্পিনার তো অসাধারণ থেকেছেন।
এই আইপিএল মরশুমে কিছু স্পিনার থেকেছেন অসাধারণ
যখন আমরা এই মরশুমে কিছু স্পিনারদের কথা বলি তো যজুবেন্দ্র চহেল, রাহুল চাহার, রবি বিষ্ণোই বা বরুণ চক্রবর্তীর বোলিং অসাধারণ থেকেছে। এই স্পিনারদের প্রদর্শন দেখেই ভারতের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত ভীষণই খুশি। ভারতের বিস্ফোরক ওপেনিং ব্যাটসম্যান থাকা কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত নিজের কলামে স্পিন বোলারদের জমিয়ে প্রশংসা করেছেন আর স্পিনাদের জন্য বড়ো কথা বলেছেন।
কে শ্রীকান্ত স্পিন বোলারদের করেছেন জমিয়ে প্রশংসা
নিজের কলামে স্পিন বোলারদের নিয়ে শ্রীকান্ত বলেন, “কোনো সন্দেহ ছাড়াই এই টি-২০ লীগে স্পিনাররা বাদশাহের মতো উঠে এসেছে। কিছু বড়ো স্কোর আর দুর্দান্ত রান চেজ সত্ত্বেও ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত সম্পূর্ণভাবে স্লো বোলারদের নিয়ন্ত্রণে থেকেছে। যতই পরিসংখ্যান আপনাদের সম্পূর্ণভাবে এই ছবি না দেখা, কিন্তু পয়েন্ট তালিকায় এই বিষয়টকে পরিস্কারভাবে দেখা যেতে পারে। ব্যাঙ্গালোর দুর্দান্ত প্রদর্শন করেছে আর গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো যজুবেন্দ্র চহেলের অসাধারণ বোলিং। তিনি নিজের উপর ভরসা দেখিয়েছেন। এমন একটা ফর্ম্যাটে যেখানে ব্যাটসম্যানদের কর্তৃত্ব থাকে, ব্যাটসম্যানদের সামনে দিকে বল রেখে শট মারার জন্য সেই বোলাররই লোভ দেখাতে পারেন যিনি আত্মবিশ্বাসে সম্পূর্ন ভরে থাকেন। চহেলের বোলিংয়ের বিশেষ ব্যাপারে এটাই যে ও উইকেট নেওয়ার দিকে দেখে। আমার হিসেবে রান আটকানোর সবচেয়ে ভালো উপায় ব্যাটসম্যানদের আউট করাই। ও ওয়াশিংটন সুন্দরের ভালো সঙ্গ পেয়েছে। একদিকে রান আটকানোর পর ব্যাটসম্যান রিস্ক নিতে বাধ্য হয় আর শেষে ভুল করে বসে”।
শ্রীকান্ত আগে আরও বলেন, “যখন ওয়ানডে ক্রিকেটের শুরু হয়েছিল তখন স্পিনারদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আব্দুল কাদিরম সাকলেন মুস্তাক, অনিল কুম্বলে, শেন ওয়ার্ন আর মুরলীধরণ সীমিত ওভারের ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন আর এখন স্পিনারদের এমনই কর্তৃত্ব আমরা লীগের বর্তমান মরশুমে দেখতে পাচ্ছ। আমি রবি বিষ্ণোইয়ের বোলিং ভীষণই উপভোগ করেছি। ওর নিজের কৌশলের উপর ভরসা রয়েছে আর ও বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের দ্বারা প্রভাবিত হয় না। যা ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য ভালো ব্যাপার।
লীগের আরও এক শক্তিশালী দল মুম্বাইয়ে হয়ে রাহুল চাহার চার ক্রুণাল পাণ্ডিয়াও ভালো কাজ করছেন। যখন দুই প্রান্ত থেকে চাপ ব্যাটসম্যানদের উপরই থাকে তো বাঁচা মুশকিল হয়ে যায়। এই অবস্থায় একটাই উপায় বাঁচাতে পারে স্পিনারদের বিরুদ্ধে বড়ো আর দীর্ঘ শট খেলার চেষ্টা করা, কিন্তু আবুধাবি আর দুবাইতে এই বিকল্প বুদ্ধিমত্তার কাজ বলা যাবে না। এমনকী শারজাহে হাই স্কোরিং ম্যাচেও আমরা অমিত মিশ্রাকে কৃপণ বোলিং করতে দেখেছি আর তাও শুভমান গিলের উইকেটের সঙ্গে। আমি জানি যে বর্তমান সময়ে স্পিনার হওয়া সহজ নয়, কিন্তু নিজের বড়ো হৃদয় আর পজিটিভ ভাবনার সঙ্গে ওরা দেখিয়েছেন যে খেলার সবচেয়ে ছোটো ফর্ম্যাটেও তাদের একটা আলাদা জায়গা রয়েছে”।