কি হল ইফরান পাঠানের ইয়ো ইয়ো টেস্টের ফলাফল দেখুন 1
ইরফান পাঠান
কি হল ইফরান পাঠানের ইয়ো ইয়ো টেস্টের ফলাফল দেখুন 2
ইরফান পাঠান

২০০১ সালের মার্চে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশকারী ও ২০০৩ সালে একদিনের ক্রিকেটের দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দিয়ে আত্মপ্রকাশকারী ইফরান পাঠান কয়েক বছর ধরে ই জাতীয় দলের বাহিরে। জাতীয় দলের বাহিরে থাকা ছাড়াও গত বছরের ঘরোয়া ক্রিকেটেও ইফরান পাঠান ছিলেন বিবর্ণ। এসব স্মৃতি ভুলে আসন্ন রনজি ট্রফিতে মনোনিবেশ করতে চাইবে ভারতের এই সাবেক অধিনায়ক। এবারো বরোদার হয়ে অধিনায়কত্ব করবেন ইফারন পাঠান ; কিন্তু নিশ্চিত ভাবে ভুলে যেতে চাইবেন গত বছরের অধিনায়কত্বের প্রাপ্তি ও ব্যক্তিগত পারফরমেন্সকে। গত বছর বরোদা জিতে ছিল আটটি খেলার মাত্র দুটি খেলায়। আর পাঠানের ব্যাট হাতে ব্যাটিং গড় ছিল মাত্র ২২.৪৪ আর বল হাতেও তুলতে পেরেছেন কেবল মাত্র ১১ উইকেট যেখানেও গড় ছিল ৪১.৫৪। এখন নতুন আসর শুরুর অপেক্ষায় এবং আশা করা যাচ্ছে নতুন আসরে ইফরান পাঠানের সমর্থকরা তাকে নতুন ভাবে দেখবেন।

 

নিজের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ইফরান পাঠান বলেন, “গত বছরের চেয়ে এ বছর আমি অনেক ভাল অবস্থানে আছি। প্রাক মৌসুমের প্রশিক্ষণ বেশ কার্যকরী ছিল এবং আমি গত বছরের কথা ভাবতে চাই না। বরোদার প্রশিক্ষকরা আমার ইয়ো ইয়ো টেস্ট নিয়েছেন এবং এতে আমি ১৬ পেয়েছি, যেটি সন্তোষজনক। ২০১২ সালে শেষ বারের মত জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ইফরান পাঠান। বর্তমানে তিনি ভারতের ওয়ানডে ক্রিকেটে ৮ম সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক ও টোয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। পাঠান ২০০৩ সালের ডিসেম্বর মাসে এডিলেড ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে তিনি টেস্ট ক্রিকেট প্রতিযোগীতায় আত্মপ্রকাশ করা এই অলরাউন্ডার এই মুহুর্তে আবার জাতীয় দলে ফেরার চেয়ে বরোদার হয়ে কার্যকারী ভূমিকা রাখার কথা ই বেশি ভাবছেন, কারন ২০১২-১৩ আসরের পর আর বরোদা রনজি ট্রফির নক আউট পর্বে খেলে নি।

 

তিনি বলেন, “যদি সব সময় আপনি ভারতের হয়ে আবার পুনরায় খেলার কথা ভাবতে থাকেন তাহলে সমস্যা তৈরী হবে। যদি আপনি বর্তমানে থাকেন এবং বর্তমান নিয়ে গুরুত্ব দেন তাহলে ভবিষ্য আপনার নিকটে চলে আসবে। ভবিষ্যতে যা হওয়ার তাই হবে।” ইফরান পাঠান আরো বলেন, ” বর্তমানে যা কিছু হচ্ছে এবং যেভাবে হচ্ছে তা নিয়ে আমি খুশি। ফিটনেসের ক্ষেত্রের যেমন খুশি তেমন ভাবে বোলিং এবং ব্যাটিং এর ক্ষেত্রে খুশি। আসন্ন আসরের প্রস্তুতির জন্য আমি ফিল্ডিং এর উন্নতির জন্যও যথেষ্ট কাজ করেছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূ্র্ণ হচ্ছে আমার উদ্দেশ্য কি, আমি বরোদার হয়ে ভাল খেলতে চাই এবং অন্য বিষয়গুলো এমননি হয়ে যাবে।

Nazmus Sajid

Sports Fanatic!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *