“উস্কানি যখন…” শালীনতার মাত্রা ছাড়ালেন BJP সাংসদ, ট্যুইটারে তীব্র প্রতিবাদ ইরফান পাঠানের !! 1

“নানা দেশ, নানা ভাষা, নানা পরিধান/ বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান” ভারতকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এমন সব পংক্তিই উঠে এসেছিলো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাম ঠাকুরের কলমে। স্বাধীনতার যুদ্ধ হোক বা স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে বারবার হিন্দু-মুসলিম-শিখ-বৌদ্ধ, নানা জাতির, নানা ধর্মের মানুষকে দেখা গিয়েছে পাশাপাশি, হাতে হাত ধরে হাঁটতে। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে কোথাও যেন সেই একতার সুতোয় টান পড়েছে। দাঙ্গা, হিংসার ঘটনা এখন শোনা যায় টেলিভিশন চ্যানেলে চোখ রাখলেই, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিভঙ্গের ঘটনাও নিয়মিত চোখে পড়ে সংবাদপত্রের পাতায়। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত। এখানে মানুষকে অন্ধবিশ্বাস, হিংসা, হানাহানির পথে হাঁটা থেকে বিরত রেখে দেশকে জগৎসভায় শ্রেষ্ঠত্বের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পান জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু তাঁদের আচার আচরণই আজকাল হয়ে উঠছে সম্প্রীতির বাতাবরণ তৈরির পথে অন্যতম বাধা।

আজ দিনভর খবরের শিরোনামে ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদ রমেশ বিধুরি। দক্ষিণ দিল্লী কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতে সংসদ ভবনে পা রাখার ছাড়পত্র পেয়েছেন তিনি। তাঁর অশালীন বাক্যবাণ’ই আজ বিশ্বের সামনে মাথা হেঁট করলো ভারতের। মাথা হেঁট করলো ভারতীয় গণতন্ত্রের। নতুন সংসদ ভবনে দিনকয়েক আগেই শুরু হয়েছে অধিবেশন। আজ কথা চলছিলো চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্য নিয়ে। ইসরোর সাফল্য ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিতে তার গুরুত্ব নিয়েই মাননীয় সাংসদেরা আলচনা চালাবেন, আশা ছিলো তেমনটাই। কিন্তু আচমকাই চন্দ্রযানের প্রসঙ্গ চাপা পড়ে গেলো রমেশ বিধুরির সাম্প্রদায়িক মন্তব্যে। বহুজন সমাজ পার্টি’র সাংসদ কুনওয়ার দানিশ আলি ছিলেন তাঁর নিশানায়। উত্তরপ্রদেশের আমরোহার সাংসদকে তাঁর ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে কটাক্ষ করেন রমেশ বিধুরী। বিএসপি সাংসদের উদ্দেশ্যে ‘আতঙ্কবাদী’, ‘দালাল’ জাতীয় অসাংবিধানিক শব্দ’ও ব্যবহার করেন দক্ষিণ দিল্লীর সাংসদ।

সংসদ ভবনে এই অনভিপ্রেত ঘটনার ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। সমাজমাধ্যমে ট্রেন্ড করতে শুরু করেছে রমেশ বিধুরীকে গ্রেফতারের দাবী। রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সকলেই। লোকসভার মাননীয় স্পিকার শ্রী ওম বিড়লার কাছে চিঠি দিয়ে শাসক দলের সাংসদ রমেশ বিধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নথিভুক্ত করিয়েছেন কুনওয়ার দানিশ আলি। ক্রিকেটদুনিয়াকেও নড়িয়ে দিয়েছে এই ঘটনা। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ইরফান পাঠান সংখ্যালঘু সাংসদের হেনস্থার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ট্যুইটারে লিখেছেন, “উস্কানি যখন থামে না, তখন সেটাই কায়দা হয়ে পড়ে।” দেশ জুড়ে বাড়তে থাকা সাম্প্রদায়িক হানাহানির দিকেই ইঙ্গিত করেছেন পাঠান।

দেখে নিন ইরফান পাঠানের ট্যুইট’টি-

Virat Kohli Rohit Sharma | KL Rahul | Ishan Kishan | Hardik Pandya | Rinku Singh | Tilak Varma | Surya Kumar Yadav | Rishabh Pant | Kuldeep Yadav | Sourav Ganguly | Ravindra Jadeja | Shreyas Iyer | Yuzvendra Chahal | Smriti Mandhana | Harmanpreet Kaur

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *