ভারতীয় ক্রিকেট দলের দুর্দান্ত অলরাউন্ডারদের তালিকাভুক্ত ইরফান পাঠান শনিবার ক্রিকেটের সমস্ত ফর্ম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা করে দিয়েছেন। ৩৫ বছর বয়েসী এই খেলোয়াড়ের অবসর নেওয়া নিশ্চিত মনে করা হচ্ছিল, কারণ তিনি নিজের শেষ ম্যাচ ফেব্রুয়ারি ২০১৯এ জম্মু-কাশ্মীরের হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে খেলেছিলেন। এমনকী তিনি গত মাসে নিজেকে আইপিএলের নিলামে খেলোয়াড়দের তালিকাতেও রাখেননি। মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন যে ২০১৬তেই তিনি জেনে যান যে তিনি এখন আর ফিরতে পারবেন না। ইরফান পাঠান অবসর ঘোষণা করে জানিয়েছেন যে ২০৬তেই তার মনে হয়েছিল যে এখন সম্ভবতই তিনি আর ভারতীয় দলে খেলতে পারবেন।
স্টারস্পোর্টসে ইরফান পাঠান বলেন
“আমি ২০১৬তে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছিলাম। যথেষ্ট রানও করেছিলাম, কিন্তু টি-২০ দলের জন্যও নির্বাচিত হইনি। নির্বাচকদের আমার বোলিংয়ে খুশি দেখায়নি। তারা পরিস্কার তো কিছু বলেননি কিন্তু তাদের আচরণে মনে হয়েছিল যে ওরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এতে মনে হয়েছিল যে এখন সম্ভবতই আমি আর দ্বিতীয় সুযোগ পাব, যে কারণে আমার খারাপ লেগেছিল, কিন্তু আমি ভেবেছিলাম আরো মেহনত করা যাক”।
ইরফান পাঠান আগে বলেন
“যখন আমি ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছিলাম, তখন কেউই আমাকে সহযোগীতা করেননি। এই কারণে আমি ভালো প্রদর্শন করতে পারি। এটা ভীষণই ভালো সফর ছিল”।
২০০৩ এ করেছিলেন ডেবিউ
বাঁহাতি এই জোরে বোলার ২০০৩ এ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাডিলেড অভালে ভারতের হয়ে ডেবিউ করেছিলেন। ইরফানের বোলিং স্পিড খুব বেশি ছিল না, কিন্তু বাঁহাতের ব্যাটসম্যানদের জন্য সুইং করানোর অসাধারণ নৈপুণ্যের কারণে তিনি দ্রুতই সফলতা পান আর ক্রিকেটের বেশকিছু দিগগজ তার তুলনা কপিল দেবের সঙ্গেও করতেন। এমনটা মনে হচ্ছিল যে ভারত সেই অলরাউণ্ডার পেয়ে গিয়েছে যা তারা কপিল দেবের অবসরের পর সন্ধান করছিল।
যাই পেয়েছি তার জন্য ধন্যবাদ
ইরফান পাঠান ভারতীয় দলের হয়ে খেলা নিজের জীবনের সবচেয়ে ভালো মুহূর্তে বলেছেন। তিনি বলেন, “আমার বাবা দিনে ১৪ ঘন্টা কাজ করতেন আর মাত্র ৫০০ টাকা রোজগার করতেন। এই অবস্থায় আমাকে ঈশ্বর যাই দিয়েছেন সেটা বোনাস ছিল। আমি এতকিছু হাসিল করার কথা কখনো ভাবিনি এই কারণে আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আমার কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই”।