ভারতীয় ক্রিকেটের দুই সৈনিক – ইরফান পাঠান এবং হরভজন সিংয়ের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের শেষ দিকটি কেটেছে একেবারে অনিশ্চয়তার মধ্যে। দল থেকে বাদ পড়া, আবার যোগ দেওয়া, এসব যেন লেগেই ছিল দুই ক্রিকেটারের উপর। মূলত সেই সময়ের ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি যুব ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়ার জন্য দল থেকে বাইরে রাখতেন ইরফান ও হরভজনকে, মূলত বয়সজনিত কারণে। যদিও আইপিএল-এ ধোনির সাথেই খেলেছেন ইরফান ও হরভজন, সেখানে থাকত না কোনও বয়সের সীমা।
এই বছর চেন্নাই সুপার কিংসের গড় বয়স অনেক বেশি, পাশাপাশি অধিনায়ক ধোনির নিজেরও বয়স চল্লিশ ছুই ছুই। এই অবস্থায় গত ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে ফিটনেসের অভাব ভুগছিলেন বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক। শেষ অবধি থেকেও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। যদিও এর জন্য ধোনির ভক্তরা প্রশংসা করেছেন এই বয়সে ধোনির এমন কমিটমেন্টের জন্য। কিন্তু সেই বয়সজনিত কারণেই যখন ইরফান পাঠান ও হরভজন সিংকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, তখন সেই পরিস্থিতিতে কেন নিজেকে ফেলছেন না ক্যাপ্টেন কুল ধোনি।
আর এই নিয়ে নাম না করে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে এক হাত নিলেন এই দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার। নিজের টুইটারে প্রাক্তন অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান একটি টুইট করে লিখেছেন, “কয়েকজনের জন্য বয়স শুধুমাত্র একটি সংখ্যা, বাকিদের জন্য এটি দল থেকে বাদ পড়ার কারণ।” স্বভাবতই পাঠান এই টুইট করেছেন ধোনিকে উদ্দেশ্য করেই, কারণ ধোনিই ভারতীয় দলে বয়স হওয়ার কারণে সুযোগ দেননি পাঠানকে।
Age is just a number for some and for others a reason to be dropped…
— Irfan Pathan (@IrfanPathan) October 3, 2020
এরপর ইরফানের সেই টুইটের জবাবে হরভজন সিংও সম্মত হলেন। বলা বাহুল্য, চলতি বছর চেন্নাই সুপার কিংসের শিবিরেই যোগ দেননি হরভজন সিং। টুইটারে ইরফানের টুইটের জবাবে ভাজ্জি লিখেছেন, “তোমার সাথে ১০০০০০০০ শতাংশ সহমত।” বয়সজনিত কারণে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার শিকারের মধ্যে অন্যতম প্রাক্তন এই অফস্পিনার।
10000000 percent agree with you. @IrfanPathan https://t.co/3RtQB6IKAd
— Harbhajan Turbanator (@harbhajan_singh) October 3, 2020
এর আগেও ইরফান পাঠান দলে সুযোগ না পাওয়ার জন্য আওয়াজ তুলেছিলেন। নিজের অবসর ঘোষণার পর পাঠান মহেন্দ্র সিং ধোনি ও তৎকালীন টিম ম্যানেজমেন্টকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, “অনেকেই মনে করেন আমি অধিনায়ক কিংবা টিম ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে কোনও সহায়তা পাইনি। আমার মনে হয় এটা আমার অধীনে নেই। আমি শুধু ভাবতাম আমি কতটা ভালো করছি নিজের দলের জন্য আর তাতেই আমি সন্তুষ্ট ছিলাম। কিন্তু হ্যাঁ, একটি বিষয় আমার খারাপ লাগে। যখন আমি আমার আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের ৩০০ তম উইকেট নিয়েছিলাম, তখন আমার ২৭ বছর বয়স। ২৭ বছর বয়সে ক্রিকেটারের দুরন্ত সময় চলে, কিন্তু আমি তারপর কোনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারিনি। কেন? এর কোনও জবাব আমার কাছে নেই। হয়ত ভবিষ্যতে, এই বিষয়গুলি সামনে আসবে।”