সুরেশ রায়না বললেন মানুষের জীবন বেশি গুরুত্বপূর্ণ, আইপিএলের অপেক্ষা করা যেতে পারে 1

বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস মানুষ ভীষণই সমস্যায় ফেলেছে। এখনো পর্যন্ত এর কারনে ৫৩.৩ হাজার মানুষ নিজেদের প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে ৯.৫ লাখ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ক্রিকেট এই ভাইরাসের অনেক বেশি প্রভাবিত হয়েছে। আইপিএল ২০২০র উপরও সংকট রয়েছে। সুরেশ রায়না এখন বলেছেন যে মানুষের বাঁচা গুরুত্বপূর্ণ এখন আইপএলের অপেক্ষা করা যেতে পারে।

সুরেশ রায়না এখন আইপিএল ২০২০ নিয়ে বলেছেন

সুরেশ রায়না বললেন মানুষের জীবন বেশি গুরুত্বপূর্ণ, আইপিএলের অপেক্ষা করা যেতে পারে 2

ভারতে এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের ২৩০১জন রুগী পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ৫৪জন মানুষ নিজেদের প্রাণ হারিয়েছেন অন্যদিকে ১৫৬ মানুষ এই রোগ থেকে ঠিকও রয়েছেন। যে কারণে ২১ দিনের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আইপিএল ২০২০র বাতিল হওয়া নিয়েও আলোচনা চলছে। চেন্নাই সুপার কিংসের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় সুরেশ রায়না আইপিএল ২০২০ নিয়ে বলতে গিয়ে পিটিআইকে জানিয়েছেন যে,

“জীবন এই সময় সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আইপিএলের নিশ্চিতভাবেই অপেক্ষা করা যেতে পারে। আম্যাডের সকলের লকডাউনে সরকারী নির্দেশের পালন করার প্রয়োজন রয়েছে অন্যথায় আমরা সমস্ত পরিণামের মুখোমুখি হব। যখন জীবন শুধরে যাবে তো আমরা আইপিএলের ব্যাপারে ভাবতে পারি। এই সময় অনেক মানুষ মারা যাচ্ছেন। আমাদের প্রাণ বাঁচানোর প্রয়োজন রয়েছে”।

লকডাউনের ব্যাপারেও বলেছেন সুরেশ রায়না

সুরেশ রায়না বললেন মানুষের জীবন বেশি গুরুত্বপূর্ণ, আইপিএলের অপেক্ষা করা যেতে পারে 3

বর্তমানে ফিটনেস আর ফর্মের কারণে ভারতীয় দলের বাইরে থাকা তারকা সুরেশ রায়না লকডাউন চলাকালীন সময় কাটানোর ব্যাপারে বলতে গিয়ে বলেছেন যে,

“আমি লকডাউনে রান্না করা আর বাচ্চাদের সঙ্গে সমত কাটাচ্ছি। ক্রিকেটের তুলনায় জীবনে করার জন্য অনেক কিছু রয়েছে। এই মুহূর্তগুলোকে আপনি অনুভব করতে পারেন। এই লকডাউনে মানুষের পৃথিবীর নীচে থাকার গুরুত্বের অনুভব হওয়া উচিত। এই সময় বড়ো বাড়ী আর গাড়ির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৩বার খাওয়ার পাওয়া। আপনি কী পড়ছেন এটাও এখন গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই সময় আপনি আর বাড়ির কাজের লোক সকলেই একই রকম”।

বাড়িতে রান্না করছেন সুরেশ রায়না

সুরেশ রায়না বললেন মানুষের জীবন বেশি গুরুত্বপূর্ণ, আইপিএলের অপেক্ষা করা যেতে পারে 4

সম্প্রতিই আরো একটি বাচ্চার বাবা হওয়া সুরেশ রায়না এই সময় বাড়িয়ে রান্না করছেন। স্পিন অলরাউন্ডার এই ব্যাপারে বলেছেন যে,
“আমার হোস্টেলের দিন থেকে রান্না করার অভ্যেস রয়েছে, এই কারণে এটা করতে আমার মজাই লাগে। স্ত্রী আর বাচ্চা এখন সুস্থ হচ্ছে, এই কারণে বাড়ির কাজে যোগদান দেওয়ার জন্য অনেকটাই খুশি”।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *