২০১৭র আইপিএলের দশম সংস্করণের সাফল্যের পরে ২০১৮য় এই লাভজনক টি২০ টুর্নামেন্টের একাদশ তম সংস্করণ অনুশঠিত হতে চলেছে। ২০১৭য় এই টুর্নামেন্টে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে চ্যাম্পিয়ন হতে দেখা যায়। বিশ্বের টি২০ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড়ো কার্নিভালের মেগা অকশন হতে চলেছে সম্ভবত জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে। এবং এই নিলামের জায়গা হিসেবে প্রথম পছন্দ হতে পারে গোয়া। যদিও বিসিসিআই অফিসিয়ালরা নিলামের জায়গা পুর্নবিবেচনা করতে পারেন গোয়ায় ক্রিসমাস এবং নিউইয়ারের ভীড়ের কথা ভেবে। দীর্ঘসময় ধরে চলা বিতর্কের পর প্লেয়ারদের রিটেনশন পলিসি ফাইনালাইজড করা হয়েছে। যার ফলে দলগুলির কোর প্লেয়াররা একই থাকবে। প্রত্যেকটি দলকে ৩জন করে প্লেয়ারকে রিটেন করার অনুমতি দেওয়া হবে এবং ২টি প্লেয়ারের ক্ষেত্রে থাকবে রাইট টু ম্যাচের অনুমতি। অন্যদিকে বাকিদের নিলামের অধীনে থাকতে হবে। চেন্নাই সুপার কিংগস এবং রাজস্থান রয়্যালও তাদের দু’বছরের নির্বাসন কাটিয়ে এই আইপিএলে ফিরে এসেছে। আইপিএলের একাদশ সংস্করণে সম্প্রচারকের বদল ঘটায় এবার তা নতুন করে শুরু হতে দেখা যাবে।
এবছরের আইপিএল সম্প্রচার করতে দেখা যাবে স্টার স্পোর্টকে যারা সোনি টিভিকে হারিয়ে এ বছর সম্প্রচারের দায়িত্ব জিতে নিয়েছে। গত দশ বছর ধরে আইপিএলের সম্প্রচারের দায়িত্ব ছিল সোনি টিভির কাছেই। এ প্রসঙ্গে বিসিসিআইয়ের অ্যাক্টিং সেক্রেটারি অমিতাভ চৌধুরি জানিয়েছেন, “ চেন্নাই সুপার কিংগস এবং রাজস্থান রয়্যালের জন্য প্লেয়ার রিটেনশন/রাইট টু ম্যাচ থাকবে ২০১৫য় তাদের হয়ে খেলা প্লেয়ায়রদের মধ্যে থেকেই। এই সমস্ত প্লেয়ারা ২০১৭ আইপিএলে আরপিএস এবং গুজরাট লায়ন্সের হয়ে খেলেছিলেন”। নিলামের জন্য ফ্রেঞ্চাইজি গুলির স্যালারি বাজেটও এই আইপিএলে বেড়েছে, এবং এ বছর ৬৬ কোটি থেকে স্যালারি বাজেট হয়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ কোটি টাকায়।
বিসিসিআই জানিয়েছে, “ প্রত্যেক সিজনের জন্য মিনিমাম স্যালারি বাজেটের ৭৫ শতাংশ খরচ করতে হবে ফ্রেঞ্চাইজিগুলিকে। খেলোয়ারদের রাইট টু ম্যাচের জন্য নিয়ম হলো ম্যাক্সিমাম ৩জন জাতীয় দলের প্লেয়ারকে রাখা যাবে, সর্বোচ্চ ২ জন বিদেশি প্লেয়ারকে রাখা যাবে এবং ম্যাক্সিমাম ২জন ঘরোয়া ক্রিকেটারকে রাখা যাবে। ২০১৭র সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত নিলামে ১৬৩৪৭.৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে আগামি পাঁচ বছরের জন্য স্টার ইন্ডিয়া আইপিএলের গ্লোবাল রাইট পেয়েছে।