কথা ছিল, আগামী বছর অর্থাৎ আইপিএল এর চতুর্দশ সংস্করণ থেকে আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে আরও এক বা দুটি নয়া ফ্র্যাঞ্চাইজির আগমণ ঘটতে পারে। এই নিয়ে বিড পেপার ছাড়ারও কথা ছিল বিসিসিআই এর। কিন্তু পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে হয়ত আগামী মরশুমে আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে নিয়েই চলবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, বরং নয়া ফ্র্যাঞ্চাইজির আগমণ ঘটবে আরও দেরিতে।
জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিসিসিআই এর তরফ থেকে খবর মিলেছে যেহেতু আগামী আইপিএল শুরু হতে আর মাত্র চার থেকে পাঁচ মাস বাকি রয়েছে, তাই নয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি আনার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না বিসিসিআই এর আধিকারিকরা। আগামী ২৪ ডিসেম্বর বিসিসিআই এর বার্ষিক সাধারণ সভা, আর সেখানে আইপিএল এ নয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি আনা নিয়ে বড় আলোচনা হতে চলেছে। কিন্তু যা পরিস্থিতি, তাতে এই নয়া ফ্র্যাঞ্চাইজির আগমণ ঘটতে পারে আগামী ২০২২ সালে।
এই নিয়ে বিসিসিআই এর এক সূত্র টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছে, “বিসিসিআই হয়ত বিড পেপার ছাড়তে পারে আগামী ফেব্রুয়ারি, মার্চ কিংবা এপ্রিল মাসে – যে সময়টা তাদের কাছে সঠিক মনে হয়। নয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি তথা স্টেকহোল্ডারদের যোগদান, আগামী ২০২১ সংস্করণকে আরও মূল্য দেবে কারণ সেটিই তখন আলোচনার বিষয় হয়ে উঠবে। আর এটাই আপাতত ভাবনাচিন্তার পর্যায়ে রয়েছে।”
এমনটা যদি হয়, তাহলে বিসিসিআই এক ঢিলে তিনটি পাখি মারতে পারবে। প্রথমত, এর ফলে মেগা অকশন করার কোনও দায়বদ্ধতা থাকবে না বিসিসিআই এর। আর এর ফলে গত মরশুমের বিজয়ী মুম্বই ইন্ডিয়ান্স আরও পাঁচ মাস ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন্স হয়ে থাকবে। দ্বিতীয়ত, এর ফলে অনেক সময় থাকবে বিসিসিআই এর কাছে নয়া টাইটেল স্পনসর খোঁজার জন্য, যা গত সেপ্টেম্বর মাসে ড্রিম ইলেভেনকে দেওয়া হয়েছিল। আর এর ফলে নয়া টিম নিতে বেশি তাড়াহুড়ো করতে হবে না। আর তৃতীয়ত, আইপিএল এর মিডিয়া রাইটসের টেন্ডার ফেলতে পারে বিসিসিআই আগামী বছরের অক্টোবর মাসে।
যদিও এই সম্ভাবনাগুলি একেবারেই চুড়ান্ত নয়, এমনটাই টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন বিসিসিআই এর সেই সূত্র। তিনি জানিয়েছেন, এই সম্ভাবনাগুলি বাস্তব চিত্রকে অবলম্বন করে ধরা হয়েছে এবং এতে বোর্ডের লাভ হবে। এই নিয়ে সেই সূত্র বলেছেন, “দিনের শেষে, এটা বিসিসিআই। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পরিবর্তন করা হয়, ঘুরিয়ে দেওয়া হয় নিমেষের মধ্যে। আমরা যেটা আলোচনা করছি সেটি বাস্তব পদক্ষেপ এবং আগামী দিনে লাভজনক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু তার পরেও, এখনই এটিকে চুড়ান্ত ভেবে নেওয়ার দরকার নেই।”