বায়ো বাবলে করোনা প্রবেশের পর ইংলিশ ক্রিকেটাররা কেন সবচেয়ে বেশি ভয় পেয়েছিলেন? জানালেন ক্রিস মরিস 1

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজি দল রাজস্থান রয়্যালসের অলরাউন্ডার ক্রিস মরিস বলেছেন যে, টুর্নামেন্টের সময় বায়ো বাবলে কোভিড -১৯ টেস্টে খেলোয়াড়দের রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া গেলে সেখানে বিশৃঙ্খলার পরিবেশ ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার এই ক্রিকেটার জানিয়েছেন যে, তিনি দেশে ফিরেই স্বস্তি পেয়েছেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) মধ্যে ম্যাচটি ৩ মে হওয়ার কথা ছিল, কেকেআর-এর বরুণ চক্রবর্তী এবং সন্দীপ ওয়ারিয়েরের কোভিড -১৯ টেস্টে পজিটিভ আসায় ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছিল। পরের দিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (এসআরএইচ) এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে ম্যাচের আগে ঋদ্ধিমান সাহার কোভিড -১৯ টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এছাড়া চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) বোলিং কোচ লক্ষ্মীপথী বালাজি করোনা আক্রান্ত হয়েছিল।

বায়ো বাবলে করোনা প্রবেশের পর ইংলিশ ক্রিকেটাররা কেন সবচেয়ে বেশি ভয় পেয়েছিলেন? জানালেন ক্রিস মরিস 2

এত কিছুর পরই বিসিসিআই আইপিএল ২০২১ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মরিস এবং দক্ষিণ আফ্রিকার আরও দশ খেলোয়াড় আইপিএল স্থগিত হওয়ার পরে দেশে ফিরেছেন। আইপিএল এর চার খেলোয়াড় এবং দুজন কোচ সহ কোভিড -১৯ এর ছয়টি কেস পাওয়া গিয়েছে। মরিস যিনি এখন তাঁর বাড়িতে ১০ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টাইন সময় ব্যয় করছেন তিনি বলেছেন, “আমি অবশ্যই স্বস্তি পেয়েছি।” মরিস বলেছেন, রবিবার রাতে দুজন কেকেআর খেলোয়াড় এর রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছিলেন। তিনি বলেছেন, “আমরা যখনই জানতে পারলাম যে বায়ো বাবলের ভিতরে খেলোয়াড়দের পজিটিভ পাওয়া গেছে, তখন প্রত্যেকেই প্রশ্ন উঠতে লাগল। নিশ্চয়ই আমাদের সবার ভিতরেই ভয় কাজ শুরু করেছে।” মরিস বলেছেন, “সোমবার পর্যন্ত ম্যাচ (কেকেআর এবং আরসিবি) স্থগিত করার পরে আমরা জানতে পেরেছিলাম যে টুর্নামেন্ট চালিয়ে যাওয়া চাপ রয়েছে।” মঙ্গলবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমন সাহা এবং দিল্লির ক্যাপিটালসের অমিত মিশ্র পজিটিভ আসার পরে আইপিএল স্থগিত করা হয়েছিল। চেন্নাই সুপার কিংসের বোলিং কোচ এল বালাজি এবং ব্যাটিং কোচ মাইকেল হাসিও করোনায় আক্রান্ত।

বায়ো বাবলে করোনা প্রবেশের পর ইংলিশ ক্রিকেটাররা কেন সবচেয়ে বেশি ভয় পেয়েছিলেন? জানালেন ক্রিস মরিস 3

মরিস বলেছেন, “আমি আমার দলের ডাক্তারদের সাথে কথা বলছিলাম। কুমার সঙ্গকারা তখন ইঙ্গিত করলেন এবং তারপরে আমরা জানতে পারলাম যে এখন টুর্নামেন্টটি আর অগ্রসর হবে না। এর পরের পরিবেশ বিশৃঙ্খল ছিল। ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা বিশেষত নার্ভাস ছিলেন কারণ তাদের ইংল্যান্ডের হোটেলগুলিতে কোয়ারান্টাইন থাকার দরকার ছিল এবং এটি স্পষ্ট যে তাদের রুম ছিল না। অস্ট্রেলিয়ান অ্যান্ড্রু টাইয়ের জায়গায় নির্বাচিত জেরাল্ড কোয়েজি গত সপ্তাহে ভারতে এসেছিলেন এবং মরিস জানিয়েছেন যে তিনি আরও নার্ভাস থাকায় এই তরুণ পেস বোলারকে ভরসা জুগিয়েছেন। আমি জানতাম জেরাল্ড বেশি নার্ভাস। আমি বলতে চাইছি তিনি মাত্র ২০ বছর বয়সী এবং তাঁর সামনে এই সব ঘটেছিল। আমি তাকে ধৈর্যশীল করার চেষ্টা করেছি।”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *