করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ সময় স্থগিত থাকা আইপিএল ২০২০র তারিখের অফিসিয়াল ঘোষণা করে দিয়েছে বিসিসিআই। এরপর একদিকে আইপিএল শুরু হতে চলেছে কিন্তু নিয়মিত দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়দের আইপিএলের ম্যাচ মিস করার কথা সামনে আসছে। এখন ফ্রেঞ্চাইজিগুলি এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়ার বিকল্পের সন্ধান করছে। যদিও এসবের মধ্যে ইমরান তাহির আইপিএলে শামিল হওয়ার জন্য ইউএই তে পৌঁছে যাবেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়রা মিস করতে পারেন আইপিএল ২০২০
করোনার ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত থাকা আইপিএল ২০২০র আয়োজন শেষমেশ ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে হতে চলেছে। এর জন্য বিসিসিআই অফিসিয়াল ঘোষণা করে দিয়েছে যে এই লীগ ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ইউএইতে খেলা হবে। কিন্তু এখন দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়দের আইপিএল ফ্রেঞ্চাইজিগুলিতে শুরু কিছু সপ্তাহে যোগ দেওয়া নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আসলে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার সংক্রমণের মামলা নিয়মিত বাড়ায় সরকার দেশে লকডাউন ঘোষণার সঙ্গেই কমার্শিয়াল এবং বর্ডার বিমান যাত্রা নিষিদ্ধ করেছে আর যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তো এটা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
ইমরান তাহির থাকবেন উপলব্ধ
দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়দের ইউএই তে পৌঁছে ফ্রেঞ্চাইজিগুলিতে যোগ দেওয়া নিয়ে সন্দেহ অবশ্যই রয়েছে কিন্তু ইমরান তাহির শুরু থেকেই চেন্নাই সুপার কিংসে যোগ দেবেম। আসলে ইমরান গত ৪ মাস ধরে পাকিস্তানে ছিলেন আর বর্তমান সময়ে তিনি ক্যারেবিয়ান প্রিমিয়ার লীগ খেলার জন্য ওয়েস্টইন্ডিজে উপস্থিত রয়েছেন, যেখানে থেকে তিনি সহজেই ইউএই তে পৌঁছে নিজের দলে অংশ নিতে পারবেন।
তো অন্যদিকে তিন প্রোটিয়া ক্রিকেটার এবি ডেভিলিয়র্স, ক্রিস মোরিস, আর ডেল স্টেইন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সদস্য। অন্যদিকে ফাফ দু’প্লেসি, ইমরান তাহির, লুঙ্গি এনগিডি চেন্নাই সুপার কিংসের প্রতিনিধিত্ব করবেন। এছাড়াও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে কুইন্টন ডি’কক, রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ডেভিড মিলর, দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে কাগিসো রাবাদ আর কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের কাছে হার্ডস ভিলোজেন দক্ষিণ আফ্রিকান প্লেয়ার হিসেবে রয়েছেন। এছাড়াও পাঞ্জাব দলের কোচিং স্টাফে জন্টি রোডসও শামিল রয়েছেন।
বিসিসিআই করছে ভাবনা চিন্তা
করোনা ভাইরাস পুরো বিশ্বকে সমস্যায় ফেলে দিয়েছে। এখন দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়দের আইপিএলের শুরু সপ্তাহে ফ্রেঞ্চাইজিগুলিতে যোগ দেওয়া নিয়ে একটি ফ্রেঞ্চাইজি মালিক স্টারস্পোর্টসকে জানিয়েছেন যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তারা বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন,
“আমরা দক্ষিণ আফ্রিকান খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। সুনিশ্চিত করার জন্য চ্যালেঞ্জ রয়েছে, কিন্তু আমরা একটা সমাধান খোঁচার চেষ্টা করছি”।