বিশ্বর অন্যতম সেরা টি-২০ লিগ আইপিএলের প্রতি আসরেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো নতুন নতুন খেলোয়াড় দলে ভেড়ানোর পাশাপাশি পুরনো খেলোয়াড়দের ধরে রাখে পারফরম্যান্স বিচার করে। ২০১৯ আসরের জন্য দল থেকে খেলোয়াড় ছেড়ে দেয়ার সময় শেষ হয়েছে ইতোমধ্যেই। পাশপাশি নিলামের আগে একাধিক খেলোয়াড় দলও পেয়ে গেছেন।
ক্রিকেটাররা এক দল থেকে অন্য দলে যাবেন এটা সব ঘরোয়া লিগগুলোর চিরাচরিত প্রথাই বটে। তবে ২০১৮ মৌসুম শেষ করে অপ্রত্যাশিতভাবে দল হারানো চারজন খেলোয়াড়ের তালিকার দিকে এবার নজর দেয়া যাক।
১. অক্ষর প্যাটেল
২৪ বছর বয়সী স্পিন অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের তাবুতে। ডেথ ওভার স্পেশালিস্ট স্পিনার অক্ষর গত আসরে ব্যাট কিংবা বল হাতে ছিলেন অনুজ্জ্বল। অন্যদিকে রবি চন্দ্রন অশ্বিন এবং মুজিব উর রহমানের আগমনের ফলে পাঞ্জাব ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে অক্ষর প্যাটেলকে। তবে দীর্ঘদিন সার্ভিস পাওয়া পাঞ্জাব যে ৯ জন খেলোয়াড় ধরে রেখেছে তার মধ্যে ইচ্ছে করলেই হয়তো রেখে দিতে পারতো অক্ষরকে।
২. অ্যালেক্স হেলস
আইপিএল ২০১৮ আসর শুরুর আগে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে আসে অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা। ফলে শূন্যস্থান পূরণে ইংলিশ ওপেনার অ্যালেক্স হেলসকে দলে ভেড়ায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। সফলও ছিলেন হেলস, ধবনের সাথে জুটি বেধে একাধিক ম্যাচ জয়ের নায়কও বনেছেন তিনি। আগামী আসরের জন্য ধবন দিল্লি ডেয়ারডেভিলসে নাম লেখানোর পর অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন হেলস হয়তো হায়দ্রাবাদের ওপেনার হয়েই থাকবেন। তবে ওয়ার্নারের আগমন এবং বিদেশি খেলোয়াড়দের কোটা সব মিলিয়ে জটিল অঙ্কের মারপেঁচে অপ্রত্যাশিতভাবেই নিলামের জন্য মুক্ত করে দেয়া হয় হেলসকে।
৩. মহম্মদ শামি
ভারতের অন্যতম সেরা পেস বোলার মোহাম্মদ শামি আইপিএলে দল হারিয়ে বেশ অবাকই হয়েছেন বলতে হবে। গত আসরে দিল্লির জার্সি গায়ে ইনজুরি নিয়েই ট্রেন্ট বোল্টকে সাথে নিয়ে দলের জন্য নিজের সেরাটা ঢেলে দিয়েছেন। দিল্লির অন্যতম সেরা বোলারও ছিলেন ডানহাতি এই গতি তারকা। দিল্লির তাবুতে কাগিসো রাবাদার প্রত্যাবর্তনেই হয়তো কপাল পুড়েছে শামির। তাই নিলামে নতুন ক্রেতার খোঁজেই হয়তো বসে আছেন শামি।
৪. মুস্তাফিজুর রহমান
এই তালিকায় আরও একটি অপ্রত্যাশিত নাম হল মুস্তাফিজুর রহমান। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ দিয়ে আইপিএল অভিষেকের পর গত আসরে ছিলেন মুম্বাইয়ের অন্যতম ভরসার প্রতীক হয়ে। তবে ম্যাক্লানাঘানের সাথে পাল্লা দিয়ে উইকেট দখল করতে না পারাতেই হয়তো আগামী আসরের জন্য মুম্বাই ফ্যরাঞ্চাইজি মুক্ত করে দিয়েছে কাটার মাস্টার খ্যাত মুস্তাফিজকে। তবে মুস্তাফিজকে ধরে রাখলেও মুম্বাই যে বুদ্ধিমানের কাজ করতো সেটা মনে করছেন অনেক ক্রিকেট বোদ্ধাই।