২০১৯ আইপিএল’কে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো দল গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। যার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আগের আসরে দলের হয়ে খেলা ক্রিকেটারদের ধরে রাখার পাশাপাশি নিলামের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়াও রয়েছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলোয়াড় মুক্তি দেয়ার তালিকায় রেখেছে সাবেক কিউই অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাকালামকে। ফল স্বরূপ আগামী আসরের নিলামে যে দল ইচ্ছে সে দলই কিনতে পারবে বিধ্বংসী এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে।
৩৭ বছর বয়সী ব্রেন্ডন ম্যাকালাম এখন পর্যন্ত আইপিএলে পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন। তবে আগামী আসরে যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো তাঁকে নিজেদের তাবুতে ভিড়িয়ে লাভবান হতে পারে এমনই তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজির দিকে এবার নজর দেওয়া যাক।
৩. রাজস্থান রয়্যালস
দুই বছর নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকার পর গত আসরে আবারও আইপিএলে অংশ নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। তবে দলের ক্রিকেটাররা নিজেকে উজাড় করে দিয়ে সেরা পারফর্ম করতে পারেননি। আগামী আসরের জন্য অজি ওপেনার ডি আর্কি শর্টকে মুক্তি দেয়ায় জস বাটলারের একজন যোগ্য সঙ্গী হিসেবে দলে যোগ দিতে পারেন ম্যাকালাম।
টি-২০ ফরম্যাটে বোলারদের উপর স্ট্রিম রোলার চালানোর সক্ষমতা ডানহাতি ম্যাককালামের রয়েছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। অভিজ্ঞ এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জস বাটলারের সাথে জুটি বাধলে রাজস্থান তাঁদের শিরোপার দৌড়ে যে এগিয়ে যাবে বেশ খানিকটা সেটা সহজেই অনুমেয়।
২. কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব
ক্রিস গেইল-লোকেশ রাহুলের মত ওপেনিং জুটি থাকা সহ বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও গত আসরে ব্যর্থ ছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। আগামী আসরের জন্য পাঞ্জাব যে ১১ জন ক্রিকেটারকে মুক্তি দিয়েছে তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অ্যারোন ফিঞ্চ, মনোজ তেওয়ারি, যুবরাজ সিং।
তবে পাঞ্জাবের ব্যর্থতার কারণ হিসেবে অবশ্য প্রত্যাশা অনুযায়ী গেইলের রান না করতে পারাকেই দায় দিচ্ছে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। তাই আগামী আসরের জন্য ওপেনিং জুটিতে বিকল্প খেলোয়াড় হিসেবে ম্যাকালাম হতে পারে দলটির সেরা পছন্দ।
১. কলকাতা নাইট রাইডার্স
মাঝারি মানের খেলোয়াড় নিয়ে গড়া কলকাতা নাইট রাইডার্স গত আসরে তৃতীয় স্থানে থেকে আসর শেষ করেছে। আগামী আসরের জন্য পাঁচ বিদেশি সহ মোট ১২ জন ক্রিকেটারকে নিলামের জন্য উন্মুক্ত করা দলটির জন্য নির্ভরতার প্রতীক হতে পারেন সাবেক কিউই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন ম্যাকালাম।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সি গায়ে ১৫৮ রানের তুলকালাম করা ইনিংস খেলা এই ব্যাটসম্যান ছিলেন ২০১২ সালে কলকাতার ট্রফি জয়ী স্কোয়াডের হয়েও। তাই পুরনো দলে আসার পর যদি নেতৃত্বের ভারটা অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের হাতে তুলে দেয়া হয় তবে মন্দ হবে না।