আইপিএলের আসর শুরুর হিসেব কষতে ক্রিকেট ভক্তরা দিন গণনা শুরু করে করে দিয়েছেন বহু আগেই। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে নিলাম, নিলাম থকে পছন্দসই ক্রিকেটারও খরিদ করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। পুরো নিলাম জুড়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারদের আধিক্য লক্ষ্য করা গেছে। কেননা আগামী বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে অধিকাংশ বিদেশি ক্রিকেটাররাই টুর্নামেন্ট অসম্পূর্ন রেখে পাড়ি জমাতে পারেন নিজ দেশে।
ক্রিকেটারদের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেব করে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিভিন্ন কৌশল সাজিয়ে ক্রিকেটারদের দলে ভিড়িয়েছেন। আর এই কৌশলের কারণেই হয়তো এই তিনজন ক্রিকেটার অপ্রত্যাশিতভাবে নিলামে বিক্রি হয়েছেন।
৩। লাসিথ মালিঙ্গা
২০১৭ আসরে নিলামে অবিক্রিত থাকার পর চলতি বছরে আবারও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে গতির ঝড় তোলেন লাসিথ মালিঙ্গা। আইপিএলের গত আসরে মাঠে নামতে না পারলেও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পেস বোলিং বিভাগের মেন্টরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। আগামী আসরের জন্য মেন্টরের দায়িত্ব জহির খানের হাতে তুলে দিয়ে মাঠে নামানো হচ্ছে ডানহাতি মালিঙ্গাকে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইনজুরির সাথে লড়াই করে মাঠে ফেরার পর মুম্বাই তাঁদের বিদেশি কোটা পূরণ করেছেন মালিঙ্গার মাধ্যমে। অপ্রত্যাশিতভাবে দল পেলেও ২ কোটি রুপির মালিঙ্গাই হয়তো হতে পারেন মুম্বাইয়ের বাজির ঘোড়া।
২। সরফরাজ খান
টানা তিন বছর পর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু তাঁদের তালিকা থেকে ছেড়ে দিয়েছে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সরফরাজ খানকে। গত আসরে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়ার ফলে ছেড়ে দেয়া হয় তাঁকে।
২০১৯ আসরের নিলামে ২৫ লাখ রুপির বিনিময়ে প্রীতি জিনতার দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব দলে ভিড়িয়েছে তাঁকে। আগামী আসরের পরের আসরে হয়তো তাঁর উপর আস্থা রাখতে পারে যেকোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। সেক্ষেত্রে সহজ সমীকরণ হলো ২০১৯ আসরে নিজেকে শতভাগ প্রমাণ করা। অন্যদিকে মিডল অর্ডার পজিশনে ব্যাট করার ফলে সবগুলো ম্যাচে ব্যটিং করার সুযোগ পান কিনা সেটাও বড় এক প্রশ্ন হয়েই রইল তাঁর সামনে।
১। যুবরাজ সিং
গত আসরে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের জার্সি গায়ে মাঠ মাতালেও আগামী আসরের জন্য তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। কেননা পুরো আসর জুড়েই তাঁর পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। অন্যদিকে তাঁর দলের অবস্থানও ছিল পয়েন্ট টেবিলের নিচের সারিতে।
আগামী আসরের নিলামে প্রথমবার তাঁর নাম ডাকা হলে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে কিনতে আগ্রহ প্রকাশ না করলে দ্বিতীয়বার নাম তোলা হলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সুনজর পড়ে তাঁর দিকে। যদিও আরও পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে কিনতে চেয়েছিল কিন্তু শেষপর্যন্ত ১.৫ কোটি রুপিতে মুম্বাই কিনে নেয় তাঁকে।
আইপিএলে তাঁর দল পাওয়া অপ্রত্যাশিত থাকলেও যেহেতু তিনি দল পেয়েই গেছেন আগামী বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকার জন্য তাঁর সামনে রয়েছে বড় সুযোগ।