দীর্ঘ সময় ধরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ক্রীড়ামন্ত্রকের কথার বিরোধ করে ওয়াডার নাগালের বাইরে ছিল। কিন্তু এখন ভারতীয় ক্রিকেটারদেরও জাতীয় ডোপিং এজেন্সির টেস্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। ক্রীড়ামন্ত্রক বিসিসিআইকে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে যে আচার সংহিতার হিসেবে বোর্ডের কাছে তাদের নির্দেশ মানা ছাড়া অন্য কোনো দ্বিতীয় রাস্তা নেই। পরিণামস্বরূপ বিসিসিআই আত্মসমর্পণ করে নিজেদের সহমতি দিয়ে দিয়েছে।
নাডার অধীনে এল বিসিসিআই
BREAKING: "All cricketers will now be tested by NADA" – Radheshyam Jhulaniya, Indian Sports Secretary.#BCCI https://t.co/RaZJks7dl8
— Cricbuzz (@cricbuzz) 9 August 2019
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই গত বেশ কিছু বছর ধরে ক্রীড়ামন্ত্রকের কথা মানছিল না। কিন্তু শুক্রবার ক্রীড়ামন্ত্রক পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে যে আচার সংহিতার হিসেবে বোর্ডের কাছে এখন তাদের নির্দেশ মানা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো বিকল্প মজুত নেই। এর আগে পর্যন্ত বিসিসিআই সবসময়েই নাডার অধীনে আসার বিরোধ করেছিল। বোর্ডের যুক্তি ছিল যে নাডার ভারতীয় ক্রিকেটারদের ডোপ টেস্ট করার কোনো অধিকার নেই। এই কথা তথ্য ক্রীড়ামন্ত্রকের সচীব রাধেশ্যাম জুলানিয়া দিয়েছেন। বিসিসিআইয়ের সিইও রাহুল জোহরির সঙ্গে শুক্রবার সাক্ষাতের পর জুলানিয়া জানিয়েছেন যে বোর্ড লিখিত আকারে জানিয়ে যে তারা নাডার ডোপিং নিরোধক নীতির পালন করবে।
বিসিসিআই অন্যদের থেকে আলাদা নয়
মিটিংয়ের পর সচিব জুলানিয়া বলেন,
“এখন সমস্ত ক্রিকেটারদের টেস্ট নাডা করবে। বিসিসিআই আমাদের সামনে তিনিটি সমস্যা রেখেছে, যার মধ্যে ডোপ টেস্ট কিটের গুনবত্তা, প্যাথলজিস্টের যোগ্যতা আর স্যাম্পেল একত্রিত করার প্রক্রিয়া শামিল ছিল। তিনি বলেন, আমরা আশ্বস্ত করেছি যে ওদেরকে ওদের প্রয়োজন অনুযায়ী সুবিধা দেওয়া হবে, কিন্তু তার কিছু ট্যাক্স লাগবে। বিসিসিআই অন্যদের থেকে আলাদা নয়”।
ক্রীড়ামন্ত্রক নিল কড়া পদক্ষেপ তো ধ্বস্ত হল বিসিসিআই
ক্রীড়ামন্ত্রক লাগাতার বলে এসেছে যে বিসিসিআইকে নাডার অধীনে আসতে হবে। সম্প্রতিই তারা দক্ষিণ আফ্রিকা এ আর মহলা দলের সফরের অনুমতি আটকে দিয়েছে যারপর অনুমান করা হচ্ছিল যে বিসিসিআইয়ের উপর নাডার অধীনে আসার জন্য চাপ তৈরি করার উদ্দেশ্যে এমনটা করা হচ্ছে।
ডোপ টেস্ট কি?
শক্তিবর্ধক ওষুধ ব্যবহার ধরার জন্য ডোপ টেস্ট করা হয়। যে কোনো খেলোয়াড়ের যে কোনো সময় ডোপ টেস্ট করা হতে পারে। কোনো ইভেন্টের আগে বা ট্রেনিং ক্যাম্প চলাকালীণ ডোপ টেস্টে খেলোয়াড়দের ইউরিন নেওয়া হয়। এই টেস্ট ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বা ওয়ার্ল্ড অ্যাণ্টি ডোপিং এজেন্সির তরফে করা হয়। এতে খেলোয়াড়দের ইউরিনকে ওয়াডা, বা নাডার বিশেষ ল্যাবে টেস্ট করা হয়। নাডার ল্যাব দিল্লিতে আর ওয়াডার ল্যাব সারা বিশ্বের বেশ কিছু জায়গায় রয়েছে।