IND vs WI: শুভমান গিল এবং শিখর ধাওয়ানের সেঞ্চুরি জুটির পর, ভারত শেষ বল পর্যন্ত খেলে প্রথম ODI ক্রিকেট ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন রানে হারিয়েছে।
প্রথমে ব্যাট করে, গিলের ৬৪ এবং অধিনায়ক ধাওয়ানের ৯৭ রানের সাহায্যে ভারত সাত উইকেটে ৩০৮ রান করে। জবাবে ক্যারিবীয় দল ৫০ ওভারে ছয় উইকেটে ৩০৫ রান করে। জয়ের জন্য শেষ ওভারে তার ১৫ রান দরকার ছিল, কিন্তু তারা তিন রানে মিস করে যায়। ১৬ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে শামার ব্রুকস এবং কাইল মায়ার্স ১১৭ রানের জুটি গড়েন।
গিল, ডিসেম্বর ২০২০ সালের পর প্রথম ওয়ানডে খেলে ৫২ বলে ৬৪ রান করেন এবং ধাওয়ান ৯৯ বলে ৯৭ রান করেন। মায়ার্স ৬৮ বলে ৭৫ এবং ব্রুকস ৬১ বলে ৪৮ রান করেন। দুজনকেই প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য কঠিন করে ফেলেন ফাস্ট বোলার শার্দুল ঠাকুর। ব্রেন্ডন কিং ৫৪ রান করলেও অধিনায়ক নিকোলাস পুরান মাত্র ২৫ রান করতে পারেন।
২৫২ রানে ছয় উইকেটের পতনের পর আকিল হোসেন (৩২) ও রোমারিও শেফার্ড (৩৮) সপ্তম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৫৩ রান যোগ করলেও দলকে জয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ, ঠাকুর ও যুজবেন্দ্র চাহাল।
এর আগে ভারতীয় ইনিংসে শ্রেয়াস আইয়ার ৫৭ বলে ৫৪ রান করেন। ধাওয়ান এবং গিল প্রথম উইকেটে ১০৬ বলে ১১৯ রানের জুটি গড়েন। ১৮ তম ওভারে গিল রান আউট হয়ে গেলেও তার ইনিংসে তিনি অনেক আকর্ষণীয় শট মারেন। তিনি আলজারি জোসেফকে ছক্কা হাঁকান এবং তারপর একটি দুর্দান্ত চার মারেন। নিজের ইনিংসে ছয়টি চার ও দুটি ছক্কা মেরেছেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের নির্ভুল থ্রোতে রানআউট হন তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটাই ছিল গিলের প্রথম ফিফটি।
একই সময়ে, শুধুমাত্র ওডিআই ফরম্যাটে খেলা ধাওয়ান তার ইনিংসে ১০টি চার ও তিনটি ছক্কা মেরেছিলেন। ভারত একবার ৩৫০ রান পার করতে চেয়েছিল কিন্তু ধাওয়ান নার্ভাস নাইন্টির শিকার হয়ে মিডল অর্ডার ভেঙে পড়ে। ক্যারিয়ারে সপ্তমবারের মতো ‘নার্ভাস নাইন্টি’র শিকার হলেন ধাওয়ান।
এক সময় ভারতের স্কোর ছিল এক উইকেটে ২১৩, যা পাঁচ উইকেটে ২৫২ রানে পরিণত হয়। সঞ্জু স্যামসন আবারও সুবর্ণ সুযোগ মিস করেন এবং ১২ রানে আউট হন। অন্যদিকে, সূর্যকুমার যাদবকে (১৩) বাজে শট খেলার খেসারত দিতে হয়েছে। দীপক হুডা ২৭ ও অক্ষর প্যাটেল ২১ রান করেন এবং ষষ্ঠ উইকেটে ৪২ রান যোগ করে ভারতকে ৩০০ রানের কাছাকাছি পৌঁছে দেন।