২০০৯ এ শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের উপর হওয়া জঙ্গী হামলার পর পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উপর একদমই ব্যান হয়ে গিয়েছিল। তবে গত কিছু বছরে পাকিস্তানে আবারও ক্রিকেট শুরু হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানে ক্রিকেট আবারও শুরু হওয়ার পরও কিছু এমন দেশ রয়েছে যারা নিজেদের দলকে পাকিস্তানে পাঠাতে রাজি নয়। এই ব্যাপারে এখন আরও একটা নাম যোগ হয়ে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের। আসলে জুন ২০২১ এ পাকিস্তানে হতে চলা এশিয়া কাপ নিয়ে বিসিসিআই একটি বড়ো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার সোজা প্রভাব এই টুর্নামেন্টের হওয়া না হওয়ার উপর দেখা যেতে পারে।
নিজেদের আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডারে স্পেস তৈরি করতে চায় বিসিসিআই
ভারতীয় দল এই সময় নিজেদের অস্ট্রেলিয়া সফরে রয়েছে যেখানে টেস্ট সিরিজের চতুর্থ আর শেষ টেস্ট ম্যাচ ব্রিসবেনে খেলা হচ্ছে। দল এখনও আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল দৌড়ে বজায় রয়েছে। যারপর অনুমান করা হচ্ছে যে ভারত আর অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচ খেলা হতে পারে। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড নিজেদের দলের আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডারে সামান্য স্পেস তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল গত বছরের এশিয়াকাপকে ২০২১ এ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। মনে করা হচ্ছে যে এসিসি এই টুর্নামেন্ট জুন মাসে আয়োজিত করতে পারে।
এশিয়াকাপ থেকে নাম তুলে নিতে পারে ভারত
বিসিসিআইয়ের এই সিদ্ধান্ত ব্রডকাস্টার্সদের জন্যও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোভিড মহামারীর কারণে ক্রিকেট না হওয়ার ফলে আর এশিয়াকাপে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে হতে চলা ঐতিহাসিক ম্যাচের কারণে কোথাও না কোথাও তাদের আর্থিক লোকসান হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। এই কারণে ব্রডকাস্টার্সদের ধরে রাখার জন্য বিসিসিআই নিজেদের গত বছরের বাতিল হওয়া দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এই বছর করাতে চায়। যার মধ্যে একটি শ্রীলঙ্কার ভারত সফরও রয়েছে। এই কারণে অনুমান করা হচ্ছে যে ভারত এশিয়া কাপ থেকে নিজেদের নাম তুলে নিতে পারে।
২০২১ শ্রীলঙ্কা আর ২০২২ এর এশিয়াকাপ পাকিস্তানে
তবে প্রসঙ্গত যে এশিয়াকাপ ২০২র আয়োজনের দায়িত্বের অধিকার পাকিস্তান এই বছরের জন্য শ্রীলঙ্কার সঙ্গে শেয়ার করেছে। যারপর পুরো সম্ভবনা রয়েছে যে এই বছরের এশিয়াকাপ জুন মাসে শ্রীলঙ্কায় খেলা হবে। এই পুরো ব্যাপারটির পর এটাও বলা যেতে পারে যে পাকিস্তান ২০২২ এর এশিয়াকাপের আয়োজন করবে।