আজ ২০ মে সোমবার পাকিস্তান নিজেদের বিশকাপের দলে তিনটি পরিবর্তন করেছে। পাকিস্তানের দল থেকে অলরাউণ্ডার ফাহিম আশরফ, জোরে বোলার জুনেইদ খান আর ওপেনার ব্যাটসম্যান আবিদ আলিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে তাদের জায়গায় জোরে বোলার মহম্মদ আমির,আর ওয়াহাব রিয়াজ আর বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান আসিফ আলিকে দলে শামিল করা হয়েছে।
জানিয়ে দিই যে আসিসির নিয়মের মোতাবেক ২৩ মে পর্যন্ত যে কোনো দলই নিজেদের বিশ্বকাপ দলে পরিবর্তন করতে পারে।এই নিয়মের ফায়দা তুলে পাকিস্তান দলনিজেদের বিশ্বকাপ ২০১৯এর দলে তিনটি বড় পরিবর্তন করেছে। এখন ভারতও নিজেদের বিশকাপ দলে তিনটি বড় পরিবর্তন করতে পারে।
ঋশষ পন্থ- দীনেশ কার্তিক
ভারতীয় নির্বাচকরা ঋষভ পন্থকে নিজেদের শুরুর ১৫ সদস্যের দিলে নির্বাচিত করেননি। ভারতীয় নির্বাচকরা ব্যাক আপ উইকেটকিপার রূপে ঋষভ পন্থকে নয় বরং দীনেশ কার্তিককে সুযোগ দিয়েছেন। যদিও দীনেশ কার্তিক আইপিএলের ফর্ম খুব একটা ভাল ছিল না। অন্যদিকে ঋষভ পন্থের আইপিএল ফর্ম দুর্দান্ত থেকেছে। এই কারণে ২৩ মে পর্যন্ত নির্বাচকরা দীনেশ কার্তিকের জায়গায় ঋষভ পন্থকে দলে জায়গায় দেওয়ার মন বানাতে পারে।
আম্বাতি রায়ডু – বিজয় শঙ্কর
ভারতের বিশ্বকাপ দলে চার নম্বর স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যানের অভাব রয়েছে। কারণ ৪ নম্বরের স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান আম্বাতি রায়ডুকে বিশ্বকাপের দলে নির্বাচন করা হয়নি। তার জায়গায় বিজয় শঙ্করকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে যিনি আজ পর্যন্ত ভারতের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে চার নম্বরে খেলেননি। এই কারণে ভারতীয় নির্বাচকরা ২৩মের আগে ভারতের বিশ্বকাপ দলে বিজয় শঙ্করের জায়গায় আম্বাতি রায়ডুকে শামিল করতে পারেন।
নভদীপ সাইনি – বিজয় শঙ্কর
ইংল্যান্ডের পিচগুলো স্পিনারদের সাহায্য করে না আর ভারতের বিশ্বকাপ দলে তিনজন স্পিনার রয়েছেন। যার মধ্যে একজন হলেন রবীন্দ্র জাদেজা। অন্যদিকে দলে মাত্র তিনজন জোরে বোলার রয়েছে। এই কারণে নির্বাচকরা ২৩ মের আগে নভদীপ সাইনির রূপে একজন জোরে বোলারকে বিশকাপ দলে শামিল করতে পারেন। অন্যদিকে রবীন্দ্র জাদেজাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে কারণ দলের কাছে আগে থেকেই কুলদীপ যাদব আর যজুবেন্দ্র চহেলের রূপে দুজন দুর্দান্ত স্পিনার রয়েছেন।