ভারতীয় ক্রিকেটে আরো একবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জিন বোতল থেকে বেরিয়ে এসেছে। যা এবার নিজের ফাঁদে এক ভারতীয় ক্রিকেটারকে নিয়ে ফেলেছে। ভারতীয় ক্রিকেটে আবারো ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কথা সামনে এসেছে যার ফলে আরো একবার প্রায় ভূমিকম্পের পরিস্থিতি এসে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটে।
ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের সঙ্গে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের যোগাযোগ
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড অর্থাৎ বিসিসিআইয়ের করাপশন নিরোধক ইউনিট রাকেশ বাফনা আর জিতেন্দ্র কোঠারির বিরুদ্ধে সোমবার ব্যাঙ্গালুরুর অশোক নগর পুলিশ স্টেশনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করিয়েছে। এই এফআইআরে জিতেন্দ্র কোঠারি আর অশোক বাফানার উপর কথিতভাবে ভারত আর ইংল্যান্ডের মহিকা ক্রিকেট দলের মধ্যে এই বছর ফেব্রুয়ারিতে হওয়া আন্তর্জাতিক ম্যাচে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রয়াস করার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে যে বাফানা ভারতীত মহিলা দলের প্রধান সদ্যসের সঙ্গে সম্পর্ক করেছিল আর একজন খেলোয়াড়ের হাত মেলানোর জন্য বাফানা বড়ো টাকার অফার করেছিল।
এই বছর ফেব্রুয়ারিতে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ চলাকালীন যোগাযোগ করার অভিযোগ
এই রিপোর্টে বলা হচ্ছে যে অশোক বাফানা ভারত-ইংল্যাণ্ড মহিলা ক্রিকেট দলের ম্যাচ চলাকালীন প্রত্যেক ম্যাচের জন্য ১ লাখা টাকা দেওয়ার কথা বলেছি। বিসিসিআইয়ের এসউ প্রধান অজিত সিং শেখাবত ওই রিপোর্টে বলেছেন যে, “আজ আমরা ব্যাঙ্গালুরুরতে দুজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করতে পেরেছি। এফআইআর একটি দৃষ্টিকোণ থেকে সম্বধিত যা দলের মহিলা ক্রিকেটারদের মধ্যে একজনের সঙ্গে বানানো হয়েছিল। ওই ক্রিকেটার আমাদের কাছে যোগাযোগ করার সূচনা দিয়েছে আর টেলিফোনে অভিযুক্তের সঙ্গে হওয়া কথাবার্তাকেও রেকর্ড করে নিয়েছে”।
জিতেন্দ্র কোঠারি আর অশোক বাফানার উপর মামলা দায়ের
শেখাবত আগে বলেন যে, “কোঠারি (জিতেন্দ্র) বিভিন্ন মহিলা ক্রিকেটারদের ম্যানেজার হিসেবে নিজেকে বেচার চেষ্টা করছিল। এ সেই ব্যক্তি যিনি খেলোয়াড়দের বাফানার (অশোক) পরিচয় দিয়েছিল। ম্যাচ ফিক্সিং করার আর স্ক্রিপ্টের অনুসারে খেলার জন্য যোগাযোগ করেছিল। শুরুতে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কল করা হয়েছিল আর বাফানা বলেছিল যে এনডোর্সমেন্টে এক বিখ্যাত ভারতীয় জামাকাপড়ের ব্র্যান্ডের জন্য হবে। কিন্তু দ্রুতই সে সোজা ম্যাচ ফিক্সিং করার জন্য যোগাযোগ করে”।
ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটার বিসিসিআইয়ের এসইউকে বিষয়টি জানান
বিসিসিআইয়ের অনুসারে ওই মহিলা ক্রিকেটার সেই সময় চুক্তিতে গন্ডগোল দেখে ওই ব্যক্তি যে কথা বলেছে তা রেকর্ড করে নেন আর তারপর বিসিসিআইয়ের এসইউকে সূচনা দেন। বিসিসিআই এই বিষয়ে কড়া অ্যাকশন নেওয়ার দিকে দেখছেন। বিসিসিআইয়ের এসইউ আগে বলেন যে, “সাট্টাবাজিতে শামিল ব্যক্তিদের যে কোনো ক্রিকেট ম্যাচের প্রয়োজন, তাদের জন্য এটা কোনো গুরুত্ব রাখে না যে সেটা কোন স্তরে খেলা হচ্ছে। যদি কোনো ম্যাচ টেলিকাস্ট হয় তো তাতে তারা সাট্টাতে সুবিধা পায় আর এই কারণে তারা স্পট ফিক্সিংয়ে লিপ্ত হয়ে যায়”।
এই ধরণের লাগানো হবে ধারা
অশোক বাফানা আর জিতেন্দ্র কোঠারির উপর ব্যাঙ্গালুরুর অশোক নগর পুলিশ স্টেশনে বিসিসিআইয়ের এসইউ কেস নম্বর ৩১২/১৯এর অধীনে এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। যার অনুসারে নিম্নলিখিত ধারাগুলি লাগানো হয়েছে।
আইপিসি ধারা ৪২০: ভারতীয় দন্ডবিধির প্রতারণা আর বেইমানি করে সম্পত্তির বিবরণ সম্বধিত যাতে সর্বোচ্চ ৭ বছরের জেল আর জরিমানা।
আইপিসি ধারা ৫১১: যাবজ্জীবন জে বা অন্য কারাবাসের সঙ্গে দন্ডনীয় অপরাধ করার প্রচেষ্টার শাস্তি।
আইপিসি ধারা ১২০বি: যে কোনো অপরাধি ষড়যন্ত্র করার জন্য মৃত্যুর শাস্তি বা ২ বছর বা তার চেয়ে বেশি সময়ের জন্য জেল তাকে এমন শাস্তি দেওয়া হবে যেমনটা অপরাধ তিনি করেছেন।