ভারত আর ওয়েস্টইন্ডিজের মধ্যে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ ১৮ ডিসেম্বর খেলা হবে। এই ম্যাচ বিশাখাপট্টনমের ডা. ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডি এসিএ-ভিডিসিএ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা হবে। তিন ম্যাচের এই সিরিজের প্রথম ম্যাচ চেন্নাইতে খেলা হয়েছে আর ওয়েস্টইন্ডিজ এই ম্যাচ ৮ উইকেটে জিতে নেয়। এখন দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে তারা সিরিজ নিজেদের নামে কররে চাইবেন। এই ম্যাচেও বেশকিছু বড়ো রেকর্ড হতে পারে।
আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই ম্যাচে হতে চলা রেকর্ডের দিকে:
১. রোহত শর্মা এই বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭২টি ছক্কা মেরেছেন। এক বছরে সবচেয়ে বেশি ৭৪টি ছক্কা মারার রেকর্ড তারই দখলে রয়েছে। এখন রোহিত নিজের এই বিশ্বরেকর্ডকে ভাঙতে চাইবেন।
২. ভারতের হয়ে এখনো পর্যন্ত ২২৮জন খেলোয়াড় ওয়ানডেতে ডেবিউ করেছেন। এই ম্যাচে ময়ঙ্ক আগরওয়াল ডেবিয় করার সুযোগ পেলে তিনি ভারতের হয়ে ওয়ানডে খেলা ২২৯তম খেলোয়াড় হবেন।
৩. ওয়েস্টইন্ডিজের হয়ে এখনো পর্যন্ত ১৯৫জন খেলোয়াড় ওয়ানডে খেলেছেন। বিশাখাপট্টনমে যদি খেরি পিয়র ডেবিউ করার সুযোগ পান তো তিনি ওয়েস্টইন্ডিজের হয়ে ওয়ানডে খেলা ১৯৬তম খেলোয়াড় হবেন।
৪. বিরাট কোহলির নামে ওয়ানডেতে ১১৫২৪ রান রয়েছে। এই ম্যাচে তিনি যদি ৫৬ রান করেন তো জ্যাক ক্যালিসকে পেছনে ফেলে তিনি সবচেয়ে বেশি রান করার ব্যাপারে সপ্তম স্থানে পৌঁছে যাবেন।
৫. কুলদীপ যাদব এখনো পর্যন্ত খেলা ৫৪টি ম্যাচে ৯৬টি উইকেট নিয়েছেন। যদি তিনি এই ম্যাচে চারটি উইকেট নেন তো তিনি সবচেয়ে দ্রুত ১০০ উইকেট নেওয়া ভারতীয় বোলার হয়ে যাবেন। এখন এই রেকর্ড মহম্মদ শামির (৫৬) নামে রয়েছে।
৬. ভারত আর ওয়েস্টইন্ডিজের মধ্যে ১৩১টি ম্যাচ খেলা হয়েছে আর এতে ওয়েস্টইন্ডিজ ৬৩টি আর ভারত ৬২টি ম্যাচ জিতেছে। বিশাখাপট্টনমে ভারত ম্যাচ জিতে এই পরিসংখ্যান সমান সমান করতে চাইবেন।
৭. ওয়েস্টইন্ডিজ ভারতের বিরুদ্ধে ২০০৬ এর পর থেকে কোনো ওয়ানডে সিরিজ জেতেনি। এই ম্যাচে তারা জয় লাভ করে ১৩ বছর পর ভারতের বিরুদ্ধে কোনো ওয়ানডে সিরিজ জিততে চাইবেন।
৮. বিরাট কোহলি ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৯টি ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেছেন। তিনি আরো একটি সেঞ্চুরি করলে ওয়ানডে ক্রিকেটে কোনো একটি দলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান হয়ে যাবেন।
৯. ভারতীয় দল গত ঘরোয়া দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গিয়েছিল। এই সিরিজে হার হলে এটা লাগাতার দ্বিতীয় ঘরোয়া দ্বিপাক্ষিক সিরিজে হার হবে। এর আগে দল লাগাতার দুটি ঘরোয়া ওয়ানডে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২০০২-০৩ আর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২০০৪-০৫ হার হয়েছিল।