তারকা ব্যাটসম্যান শচীন তেন্ডুলকরের উপর কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্টের অভিযোগ লেগেছিল। শচীন বিসিসিআইয়ের পরামর্শদাতা সমিতির সদস্য হওয়ার পাশাপাশি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টরও। এই কারণে মধ্যপ্রদেশের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সঞ্জীব গুপ্তা শচীনের বিরুদ্ধে লোকপাল ডিকে জৈনের কাছে কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্টের অভিযোগ এনেছিলেন।
শচীন পেয়েছিলেন নোটিশ
অভিযোগ নথিভুক্ত হওয়ার পর বিসিসিআইয়ের লোকপাল ডিকে জৈন ২৪ এপ্রিল নোটিশ জারি করেছিলেন। শচীন তেন্ডুলকরকে এই বিষয়ে নিজের মতামত জানাতে বলা হয়েছিল। তিনি ছাড়াও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের দলের সঙ্গে যুক্ত প্রাক্তন তারকা ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষ্মণের উপরও এই অভিযোগ উঠেছিল। শচীনের সঙ্গে লক্ষ্মণও বিসিসিআইয়ের পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য।
শচীন দিলেন জবাব
লোকপালের নোটিস পাওয়ার পর শচীন আজ তার জবাব পাঠিয়েছেন। ১৪ পয়েন্টের জবাবে তিনি লিখেছেন যে মুম্বাই ইন্ডিয়ানের দল থেকে না তো তিনি কোনো পয়সা পান আর না তিনি কোনো সিদ্ধান্তে শামিল হন। পিটিআইয়ের অনুসারে শচীন লিখেছেন,
“তিনি কোনো পদেই নেই, না তো তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যা ফ্রেঞ্চাইজির শাসন বা ম্যানেজমেন্টে থাকার কারণে যোগ্য হতে পারে। এই কারণে বিসিসিআইয়ের নিয়মের অনুসারে বা অন্যথা কোনো কনফ্লিক্টস অফ ইন্টারেস্ট নেই”।
নিজের ভূমিকার ব্যাপারে বলেছেন
শচীন তেন্ডুলকর অবসরের পর থেকেই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে যুক্ত। তাকে লাগাতার দলের ডাগ আউটে দেখা যায়। দলে নিজের ভূমিকা আর ডাগ আউটে বসার ব্যাপারে শচীন লেখেন,
“আমার ভূমিকা ফ্রেঞ্চাইজিকে নিজের নিজের বোধে বিষয়গুলোকে বলা আর দলের তরুণ সদস্যদের সঙ্গে মিলে কাজ করার জন্য পথপ্রদর্শন করা পর্যন্ত সীমিত। যাতে ওদের নিজেদের বাস্তবিক ক্ষমতার অনুভব হতে পারে। মেন্টারকে ফ্রেঞ্চাইজির ম্যানেজমেন্ট বলা যেতে পারেনা। যদি অভিযোগকারির ভিত্তিহীন তর্ককে লাগু করা হয় তো ফিজিয়ো থেরাপিস্ট, ট্রেনার বা মালিশ যারা করে তাদেরও ম্যানেজমেন্ট হিসেবে মনে করা হবে”।