ফের আরও একবার ঝলসে উঠলেন তিনি।খেললেন আরও একটি দুরন্ত ইনিংস , যা জয় এনে দিলো ইংল্যান্ডকে চলতি এ্যসেজে। তিনি এবার ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপের নায়ক, এইমুহুর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। চলতি এ্যসেজের তৃতীয় টেস্টের চার নম্বর দিন এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের সাক্ষী থাকলো বিশ্বক্রিকেট।একা হাতেই ইংল্যান্ডকে জয় এনে দিলেন স্টোকস ১৩৫ রান করে।ফের দলকে জিতিয়ে অভিনন্দনে ভাসলেন এইমুহুর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার।
“এই মুহূর্তে এ্যসেজে আমাদের যা অবস্থান, তা দেখে নিজেকে মনে হচ্ছে যেনো চাঁদে আছি।আমাদের হাতে এখনো বেশ কিছু দিন সময় আছে, পরবর্তী টেস্ট শুরুর আগে।তাই ম্যানচেষ্টারে খেলতে নামার সময় থেকে ফের নতুন ভাবে শুরু করতে হবে আমাদের।বাকী কিছু না ভেবে আমাদের জয়ের দিকে মন দিতে হবে “। মন্তব্য স্টোকসের। ম্যাচ চলাকালীন দর্শকদের দর্শকদের একনাগাড়ে উৎসাহ করে যাওয়ার বিষয়টি ঋতিমতো উপভোগ করেছেন স্টোকস।এদিন তিনি বলেছেন, ” যখন উৎসাহ দেওয়ার কোনও প্রয়োজন ছিলো না, তখনও তারা একনাগাড়ে উৎসাহ দিয়ে গেছে আমাদের।আসলে ম্যাচে এমন কিছুর গুরুত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ভক্তরা।তারা জানেন তাদের এমন বিষয় গুলো আমাদের ম্যাচে ফিরতে সাহায্য করবে।তাদের এমন সমর্থন আমাদের মধ্যে জেতার স্পৃহা কে আরও বাড়িয়ে তোলে। ”
এদিন খানিকটা ভাগ্য অসহায় থেকেছে অস্ট্রেলিয়ার।এল বি ডব্লিউ তে স্টোকসকে পুরোপুরি আউট হতে দেখা গেলেও তা নাকচ করে দেয় আম্পায়ার।কিন্তু ডি আর এস নেওয়ার সুযোগ আর বেঁচে না থাকায় আর কিছু করে উঠতে পারে না অজিরা।যদিও স্টোকসের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান তিনি আউট ছিলেন না। ” ডি আর এসে সমস্যা ছিলো, আমি আউট ছিলাম না।কারণ আমার সামনের প্যাডে লাগাকালীন বলটা সুইং করেনি।তবে এমন পরিস্থিতি এদিন প্রমাণ করে দিলো এমন সময় এরকম অপশন গুলোকে বাঁচিয়ে রাখা ঠিক কতটা জরুরি, নাহলে ঠিক কতটা সমস্যা হয় আমাদের কাছে স্পষ্ট।”
২৮৬/৯ ইংল্যান্ড।অনেকেই ভেবেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার জেতা এখন খালি সময়ের অপেক্ষা।যদিও স্টোকসের দুরন্ত শতরানের উপর ভিত্তি করে ম্যাচে দারুণ জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড।পাশাপাশি সমতায় ফিরেছে এবারের এ্যসেজে ১-১ তে।আগামী ৪ ই সেপ্টেম্বর এ্যসেজের পরবর্তী ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী।