এবছর বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার যে বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট মহল সরগরম হয়ে উঠেছিল তা ছিলো ভারতের দল থেকে অম্বাতি রায়ডুর বাদ পড়া।প্রাক বিশ্বকাপে ভারতীয় বিশ্বকাপের দলের চার নম্বরে রায়ডুকে খেলতে দেওয়ার নিয়ে উঠেছিল জোড়ালো দাবি।এমনকি দেশের আপামর ক্রিকেট প্রেমীরা নিশ্চিত ছিলেন দলে রায়ডুর সুযোগ পাওয়া কে কেন্দ্র করে, কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেখা যায় এমনটাই হয়নি বরং চমক দেয় নির্বাচকরা দলে বিজয় শংকর কে সুযোগ দিয়ে।সেই সময় বিষয়টি নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি।
এমনকি বিষয়টি নিয়ে আশাবাদী ছিলেন স্বয়ং রায়ডু নিজেও।পরবর্তী সময়ে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি ও।একদিকে যখন তীব্র বিতর্কের ঝড় উঠেছিল দলে রায়ডুকে সুযোগ দেওয়া কে কেন্দ্র করে ,তখন নির্বাচক প্রধান এম এস কে প্রসাদ জানিয়েছিলেন শঙ্করকে দলে নেওয়ার প্রধান কারন ” থ্রিডি ” নির্ভরতা। অর্থাৎ দলকে ” ত্রিমাত্রিক ” , ব্যাটিং ,বোলিং, ফিল্ডিং এ সহায়তা করবে এই অলরাউন্ডার।
কিন্তু আদপে তা হয়নি। বরং গোটা বিশ্বকাপ জুড়ে খালি হতাশা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারে নি এই ক্রিকেটার।অন্যদিকে ভারতের রিজার্ভ দলে রাখলেও পরবর্তী সময়ে তাকে দলে নেওয়ার কোনও রকম উৎসাহ দেখায়নি নির্বাচকরা।
একদিকে যখন ক্রমাগত উপেক্ষিত হচ্ছেন রায়ডু জাতীয় দলে।তখন আইসল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড তাকে তাদের দেশের নির্ভরতা দেওয়ার প্রস্তাব দিলো এবং গোটা বিষয়টি চমকপ্রদ ভাবে।এক্ষেত্রে তারা টেনে এনেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ” থ্রিডি ” মন্তব্য প্রসঙ্গ।তারা গোটা বিষয়টির মজা করার মধ্যে দিয়ে রায়ডুকে প্রস্তাব দেয় আইসহল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।এখন রায়ডু সেই প্রস্তাবে কতটা সাড়া দেয় শুধুমাত্র সেইটাই দেখার।
অন্যদিকে, চলতি বিশ্বকাপের শুরু থেকেই এবারের চ্যাম্পিয়ান হওয়ার দৌড়ে যে দল গুলোকে এগিয়ে রাখা হয়েছিল সেক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে ছিলো ভারত।এযাবৎ টুর্নামেন্টে শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে এসেছে বিরাটরা।তারা হারিয়েছে সাউথ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া,পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দল গুলোকে।এমন একের পর এক দুরন্ত জয়ের মধ্যে দিয়ে ইতিমধ্যে সেমিফাইনালে জায়গা প্রায় জায়গা পাকা করে ফেলেছে বিরাটরা।