গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলে হোয়াটওয়াশ পূর্ণ করেছিল ইংল্যান্ড। কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার ১৯২ রান তাড়া করতে গিয়ে ১৪ বল বাকি থাকতে রান তুলে দেয় ইংল্যান্ড। এবং এই দুর্দান্ত জয়ের কৃতিত্ব পাওয়া উচিত দাওয়িদ মালান এবং জস বাটলারের। মাত্র ৮৫ বলে ১৬৭ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপের জেরে এই দক্ষিণ আফ্রিকার এই বড় রান অনায়াসে চেজ করে ফেলে ইংল্যান্ড।
কিন্তু ম্যাচের আকর্ষণ গিয়ে দাঁড়ায় দাওয়িদ মালানের উপর। ইংল্যান্ডের এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান এই মুহুর্তে আইসিসির টি২০ ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে রয়েছেন, এবং গত বছর থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন মালান। এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মাত্র ৪৭ বলে ৯৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। কিন্তু অবাক করার মত বিষয়, ১৫টি বল বাকি থাকতে যখন জয়ের জন্য স্রেফ এক রান দরকার ছিল, সেঞ্চুরির জন্য দুই রানের প্রয়োজন মালানের এবং সেই সময় ব্যাটিং করছিলেন তিনি, তখন লুথো সিপামলার বলে সিঙ্গল নিয়ে ফেলেন মালান। যার ফলে এক রানের জন্য শতরান হাতছাড়া করেন দাওয়িদ মালান।
এরপর ধারাভাষ্যকার থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশ্ব অবাক হয়ে গিয়েছিল ইংরেজ ব্যাটসম্যানের এমন কর্মকান্ড দেখে। অনেকের মতে, হয়ত মালান ভেবেছিলেন আরও রান বাকি রয়েছে। কেউ কেউ এমনও দাবি করেছেন যে জয়ের আনন্দে দ্বিতীয় রান নিতেই ভুলে গিয়েছিলেন মালান। কিন্তু আদতে, হিসেবের ভুল হয়েছিল তার। আর এমনই স্বীকারোক্তি করে বসলেন বিশ্বের এক নম্বর টি২০ ব্যাটসম্যানের।
এই নিয়ে পোস্ট ম্যাচ প্রেজেন্টেশনে দেওয়া সাক্ষাতকারে দাওয়িদ মালান বলেছেন, “আমি জানতাম যে আমায় দুটি ছয় মারতে হবে (৮৮ রানে যখন ব্যাট করছিলেন) ম্যাচ জেতার জন্য এবং নিজের শতরানে পৌছনোর জন্য। আমি একটি ছয় এবং একটি চার মেরেছিলাম, তো আমার মনে হয় আমি সেরকম ভালোভাবে হিসেব করতে পারিনি। আমায় আবার অঙ্কের ক্লাসে ফিরে যেতে হবে।”
এদিকে এই টি২০ সিরিজে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন দাওয়িদ মালান। ৩৩ বছরের এই ব্যাটসম্যান এই ম্যাচে শুধু ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পুরষ্কারই পাননি, পেয়েছেন সিরিজ সেরা হওয়ার পুরষ্কারও। যদিও মালান স্বীকার করেছেন, এই সিরিজে সেরকম ভালো মত খেলতে পারেননি তিনি। এই সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে তার ব্যাটে বলে সেরকম সংযোগ হচ্ছিল না বলে দাবি মালানের, যদিও তৃতীয় ম্যাচে ভালো পারফর্ম করতে পেরে খুশি।
এই নিয়ে প্রেজেন্টেশনে মালান বলেছেন, “গত দুই ইনিংসে সেরকম ভালোভাবে বল লাগাতে পারছিলাম না, কিন্তু এবারে বেশ ভালো মোমেন্টাম পেয়েছি, আর এতে আমি খুশি। আজকের উইকেট বেশ ভালো ছিল, আর এটাই আমার সুবিধা। জস বাটলার যেরকম শুরুটা করতে চান সেরকমভাবে করতে পারেননি, কিন্তু আমার কাছে মোমেন্টাম ছিল এবং ওর উপর থেকে সমস্ত চাপ সরিয়ে নিয়েছি, আর সেটাই আমাদের পার্টনারশিপটিকে গড়তে সাহায্য করেছে।”