চার বছরে একবার হওয়া বিশ্বকাপ ইংল্যাণ্ডের মাটিতে ইংল্যাণ্ড আর দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে হতে চলা ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশ্বকাপে ১০টি দলের মধ্যে হতে চলা ব্যাট আর বলের মধ্যে চলা প্রতিযোগীতার দাবীদার কে হবে এটা বলা এখন মুশকিল।
বিশ্বকাপের আগে হওয়া প্র্যাকটিস ম্যাচে ভারতীয় দল বোল্টের বোলিংয়ের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল। তার ধারালো বোলিংয়ের সামনে কোনো ব্যাটসম্যানই টিকে খেলতে পারেননি, ফলে এই ম্যাচ ভারতীয় দল হেরে যায়।
বিরাট কোহলির ব্যাপারে বললেন এই বড়ো কথা
আইএনএসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বোল্ট বলেন,
“মাঠের পরিস্থিতি অনুযায়ী বোলিং করতে হয়, এর জন্য আবশ্যক যে আপনি বোলার হিসেবে সামনের ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই চড়ে বসেন। বিরাট কোহলির ব্যাপারে প্রশ্ন করায় তিনি বলেন যে ও বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান”।
তিনি আগে বলেন যে,
“যদি আপনি বিরাটের বিরুদ্ধে আক্রামণাত্ম হন, কারণ ও ভীষণই কম ভুল করে, ও মাঠে টিকে থেকে খেলতে জানে, যার জন্য শুরু থেকেই ওর উপর চাপ তৈরি করতে হয়। চাপেই ওর উইকেটকে হাসিল করা যেতে পারে। যদি একবার ও উইকেটে টিকে যায় তো ওকে আউট করা মুশকিল হয়ে যায়”।
আক্রামণাত্মকতার সঙ্গে করতে হবে বোলিং
বিশ্বকাপে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নারের মত খেলোয়াড়রা থাকবেন, যার সামনে বোলিং করে ব্যাটসম্যানদের চ্যালেঞ্জ দেওয়ার সাহায্য পাওয়া যাবে। তিনি বলেন যে এই বিশ্বকাপে সমস্ত গুনবত্তাওয়ালা খেলোয়াড়রা থাকবেন, কিন্তু এটা আমার জন্য বলা ঠিক হবে না যে কে সবচেয়ে ভাল, কিন্তু আমার মনে হয় যে ব্যাটসম্যানদের পক্ষে বেশি জিনিস থাকে যা তাদের সাহায্য প্রদান করে। বোলার হিসেবে আমাদের মাঠে বলের সঙ্গে আক্রামণাত্মক দেখাতে হবে।
সমস্ত দশটি দলকেই বিশ্বকাপ খেতাবের দাবীদার মেনেছেন
বোল্ট ম্যাচে আবহাওয়ার ভূমিকাকে প্রধান মেনেছেন, কিছু বছর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় পিচ ব্যাটিংয়ের জন্য অনুকুল দেখিয়েছিল, কিন্তু আমাদের মনে হয় যে বোলাররা সুইং পাবে আর আমরা নতুন বলের সঙ্গে উইকেট নিতে পারি। ইংল্যাণ্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর ভারতকে বিশ্বকাপের প্রবল দাবীদার মনে করা হচ্ছে। এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে আমার মনে হয় যে সমস্ত ১০টি দলকে ভারসাম্যমান দেখাচ্ছে, যে কোনো দলই নিজের দিনে যে কোনো দলকেই হারাতে সক্ষম।