কার্যত ভাঙাচোরা এক ভারতীয় দলকে ঘরের মাটিতে সামনে পেয়েও হারাতে পারল না অস্ট্রেলিয়া। অ্যাডিলেডে লজ্জার হারের পর দুরন্ত কামব্যাক করে মেলবোর্নে জয়, তারপর সিডনিতে ড্র এবং সব শেষে ব্রিসবেনে জিতে বর্ডার গাভাস্কার ট্রফি জিতে নেয় টিম ইন্ডিয়া। আর এই নিয়ে অস্ট্রেলিয়া দলকে তুলোধোনা করছে সকলে। প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ক্রিকেটপ্রেমীরা সকলেই দুষছেন অধিনায়ক টিম পেইনকে। এই নিয়ে সরব হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তী ক্রিকেটার ইয়ান হিলি।
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ইয়ান হিলি বলেছেন, আহত ভারতীয় দলের কাছে হারের পরে কারণ হিসেবে তিনি অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে মানসিকতার ঘাটতি দেখেছিলেন। একইসাথে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পেইনের নেতৃত্ব এবং উইকেটকিপিংয়ের দক্ষতা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্ট ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ৩৬ রানে আউট হওয়ার পরে ভারত দুর্দান্ত এক প্রত্যাবর্তন করেছিল এবং চার ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জয়ের কারণে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ধরে রেখেছে।
এই নিয়ে ইয়ান হিলি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “তারা (অস্ট্রেলিয়ান দল) সত্যিকারের মানসিকতা ছাড়াই খেলেছিল। তারা প্রায়শই লড়াইয়ে সঠিক মনোভাব গ্রহণ করেনি। ৬০ রানের স্কোরকে ১৩০ এ রূপান্তর করার ক্ষুধা নেই ওদের মধ্যে। অধিনায়ক, সহ-অধিনায়ক, কোচ এবং কোচিং স্টাফদের মধ্যে খুবই অদ্ভুত আচরণ ছিল। আমাদের ফিল্ডিং বেশ হতাশজনক ছিল। আমি এই দলের ফিল্ডিংয়ে কাজ করব। আর বাকি বিষয়গুলি নিজেরাই ফিরে আসবে। আমি পেইনকে সিডনি এবং ব্রিসবেনে খেলতে দেখেছি। তিনি কঠোর অনুশীলন করেননি। তাঁর উইকেটকিপিংয়ের কৌশলটি নাথান লিয়ঁর সামনে কাজ করতে পারেনি। আমি মনে করি তিনি অধিনায়ক হিসাবে খুব একটা চেষ্টা করছিলেন না।”
এরপর কিংবদন্তী এই ক্রিকেটার বলেছেন, “এছাড়াও সহ অধিনায়ক কী করছিলেন? কেন আপনি মাঠে প্যাট কামিন্সের পরামর্শ নেননি। কিসে পিছিয়ে পড়েছে দল সেই নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি।” পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছিলেন যে অস্ট্রেলিয়ান দল খারাপ ছিল না তবে খেলোয়াড়দের মনোভাব কিছুটা নরম ছিল। এই নিয়ে তিনি বলেছিলেন, “কোচিং স্টাফ এবং সিনিয়র খেলোয়াড়দের জানা উচিত যে কেন দলের খেলা প্রত্যাশা মত হয়নি। এর পরে এটি উন্নত করা উচিত। দলটি তেমন খারাপ ছিল না তবে তারা এমন খারাপ খেলা দেখিয়েছে যে তারা ভারতের দ্বিতীয় স্তরের দলের কাছে হেরে গিয়েছিল।”