বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা হতে চলা একমাত্র টেস্ট ম্যাচের অধিনায়ক করা হয়েছে। এখন এরপর সাকিবকে এটা বলতে দেখা গেছে যে তিনি কোনো ফর্ম্যাটেই বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব সামলানোর জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত নন। তার তিন ফর্ম্যাটের কোনোটিতেই বাংলাদশের অধিনায়কত্ব করার কোনো শখ নেই।
আমার অধিনায়কত্ব করার কোনো ইচ্ছেই নেই
বর্তমান সময়ে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডার বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলোর কাছে জানিয়েছেন,
“আমি টেস্ট আর টি-২০তে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত নই। বিশ্বাস করুন, আমার কোনো ফর্ম্যাটেই অধিনায়কত্ব করার একদমই ইচ্ছে নেই। যদি আমি দলের অধিনায়কত্ব না করি তো আমি নিজের উপর আরো বেশি ধ্যান দিতে পারি, যা দলের জন্য হেল্পফুল হবে। আমাদের দল এখন ভাল স্থিতিতে নেই, এই কারণে আমার মতে যে আমার একে লাইনে আনার জন্য অধিনায়কত্ব সামলাতে হবে”।
তরুণদের দেওয়া উচিৎ দায়িত্ব
অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের মত যে তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্বের সঙ্গে নির্বাচিত করা উচিৎ। তারকা অলরাউন্ডার বলেছেন যে তরুণ খেলোয়াড়রা বেশি শিখবেন যখন তাদের কাঁধে দায়িত্ব থাকবে। এখন এই সময় ভবিষ্যতের জন্য তরুণদের তৈরি করার। তিনি বলেন,
“আমি দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তরুণ খেলোয়াড়দের দেখতে চাই। আমাদের (সাকিব আর মুস্তাফিজুর রহমান) অনেক কম বয়েসে নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ওরা এখন ২৬, ২৭ বছরের হয়ে গিয়েছে। যতক্ষণ আপনি তরুণদের দায়িত্ব দেবেন না ততক্ষণ আপনি জানতে পারবেন না যে ওরা কি করতে পারে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আর টি-২০ বিশ্বকাপ এগিয়ে আসছে, এই কারণে আমাদের আগামী চার বছরের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করা উচিৎ”।
মাশরফি মুর্তজাকে করলেন বিশ্বকাপে খারাপ প্রদর্শনের জন্য দায়ী
বিশ্বকাপে দলের খারাপ প্রদর্শনের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে সাকিব বলেছেন যে,
“আমার সবসময়ই মত ছিল যে আমরা অনেক আগে যেতে পারি, আর যদি আমরা সবার সাহায্য নিই তো সম্ভবত আমরা সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছতে পারি। যখন কোনো খেলোয়াড় প্রদর্শন করেন না তো সে দলের খেলোয়াড়দের থেকে বেশি আর উচ্চতম প্রদর্শনের ব্যাপারে ভাবতে থাকে। আমার মনে হয় যে এটাই মাশরফি ভাইয়ের সঙ্গে হয়েছিল। যেহেতু অধিনায়ক প্রদর্শন করছিলেন না, এই বিষয়টিই দলের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল”।