ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে ২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বিরাট কোহলি অ্যাণ্ড কোম্পানিকে সম্পূর্ণভাবে দাবীদার মানা হচ্ছে। কিন্তু মঙ্গলবার ভারতীয় দল সেই সময় দারুণ ধাক্কা খায় যখন ভারতের সবচেয়ে বড়ো বোলিং হাতিয়ার জসপ্রীত বুমরাহ চোটের কারণে ছিটকে যান।
জসপ্রীত বুমরাহ স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজের বাইরে
ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে গত প্রায় দু বছর ধরে তিন ফর্ম্যাটেই বোলিং বিভাগের সবচেয়ে বড়ো যোগদান দেওয়া জসপ্রীত বুমরাহের স্ট্রেস ফ্র্যাকচার হয়ে গিয়েছে আর তাকে পুরো সিরিজ থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে। জসপ্রীত বুমরাহের ছিটকে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এই টেস্ট সিরিজের জন্যই, কিন্তু বুমরাহের যে ধরণের স্ট্রেস ফ্র্যাকচার রয়েছে তা এত সহজে ঠিক হবে না, এতে তার কোমরের নীচে ব্যাথা রয়েছে।
বুমরাহের হওয়া স্ট্রেস ফ্র্যাকচার থেকে বর্তমানে প্রত্যাবর্তনের আশা নেই
এই চোটের পর তো এটা নিশ্চিত হয়নি যে বুমরাহকে কতটা সময়ের জন্য দলের বাইরে থাকতে হবে, কিন্তু পরিস্থিতি দেখে এমনটা মনে হয় না যে তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আগামী সিরিজেও ফিট হতে পারবেন। এউ অবস্থায় জসপ্রীত বুমরাহের হওয়া এই স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের ব্যাপারে টিম ম্যানেজমেন্টকে ভাবতে বাধ্য করেছে, কারণ এই চোটকে কোনোভাবেই হালকাভাবে নেওয়া যাবে না।
স্ট্রেস ফ্র্যাকচার…কি আর কেন হয়?
স্ট্রেস ফ্র্যাকচার কি— এটা হাড়ে হওয়া একটা হালকা ক্র্যাক যার পরিস্কার মানে যে হাড়ের ভেতরের গুরুতর চোট হতে পারে। এই চোটে অ্যাথলিটদের ভীষণ ব্যাথা হয় যার কোনো দ্রুত নিরাময় নেই। যা বেশিরভাগ ফুটবলার্স আর বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের হয়।
স্ট্রেস ফ্র্যাকচার কি—একজন অ্যাথলিটের স্ট্রেস ফ্র্যাকচার বেশিরভাগই সেই সময় হয় যখন তিনি লাগাতার বা প্রয়োজনের বেশি গতিবিধি করে নেন, অর্থাৎ নতুন ধরণের কসরত করার চেষ্টা কর বা অ্যাথলিটের উপর ওয়ার্কলোড বাড়ায় হাড় কমজুরি হয়ে যায়, যাতে স্ট্রেস ফ্র্যাকচার বাড়তে শুরু করে।
জসপ্রীত বুমরাহের স্ট্রেস ফ্র্যাকচারকে সিরিয়াসলি নেওয়ার প্রয়োজন
ভারতীয় দলে জসপ্রীত বুমরাহের কত বড় জায়গা এটা কাউকে বলার প্রয়োজন নেই কারণ ব্যাটিংয়ে যদি বিরাট কোহলি জয়ের গ্যারান্টি হন তো বোলিং জসপ্রীত বুমরাহও জয় সুনিশ্চিতকারী প্রমানিত হন। এখন বুমরহের স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের মত গুরুতর আঘাত লেগেছে, যার থেকে বর্তমানে তো সুস্থ হয়ে ওঠা একদমই সহজ বলা যাবে না। স্ট্রেস ফ্র্যাকচার একবার হওয়ার পর ওই খেলোয়াড়কে বারবার সমস্যার মুখোমুখি পড়তে হয়, এই অবস্থায় জসপ্রীত বুমরাহ থেকে শুরু করে টিম ম্যানেজমেন্ট আর বিসিসিআইকে এই চোটকে সিরিয়াসলি নেওয়ার প্রয়োজন।
বরুণ অ্যারণ আর মিচেল স্টার্কেরও হয়েছে বেশ কয়েকবার এই সমস্যা
স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের বিষয়টা সামান্য আলাদাই আর মুশকিলের যাকে পার কর একদমই সহজ নয়। এই চোট থেকে খেলোয়াড়দের কখনো কখনো ৬ থেকে ৮ মাস খেলার বাইরে থাকতে হয়। ভারতের জোরে বোলার বরুণ অ্যারণকে এই সমস্যার দারুণভাবে মুখোমুখি হতে হয়েছে। বরুণ অ্যারণকে স্ট্রেস ফ্র্যাকচার এখনো পর্যন্ত ৮ বার দলের বাইরে করে দিয়েছে যে কথা তিনি স্বয়ং স্বীকার করেছেন। তো অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার তারকা বোলার মিচেল স্টার্ককেও বেশ কয়েকবার এই স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে যেখানে তাকে সমস্যায় পড়তে আমরা দেখেছি।